সংক্ষিপ্ত

সকাল ১০.৩০টা পর্যন্ত, নকশাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে যায় যৌথবাহিনী। তেলেঙ্গানা গ্রে হাউন্ডস এবং নকশালদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয় সোমবার সকালে।

ফের যৌথবাহিনীর গুলিতে খতম মাওবাদী (Six Naxals)। তেলেঙ্গানা এবং ছত্তিশগড়ের সীমান্ত (Chhattisgarh-Telangana border) এলাকায় কিস্তারাম থানা (Kistaram PS) সংলগ্ন বনাঞ্চলে (forest area) এই এনকাউন্টার (encounter) হয়। তেলেঙ্গানার ভদ্রাদ্রি কোথাগুডেম জেলার এসপি সুনীল দত্ত জানিয়েছেন এনকাউন্টারে ছয় নকশাল নিহত হয়েছে। তেলেঙ্গানা পুলিশ, ছত্তিশগড় পুলিশ এবং সিআরপিএফের একটি যৌথ অভিযানে এই এনকাউন্টার শুরু হয়। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর সকাল ১০.৩০টা পর্যন্ত, নকশাল বিরোধী অভিযান চালিয়ে যায় যৌথবাহিনী। তেলেঙ্গানা গ্রে হাউন্ডস এবং নকশালদের মধ্যে এনকাউন্টার শুরু হয় সোমবার সকালে। চলছিল। 

এদিকে, এনকাউন্টার চলাকালীন নিরাপত্তা বাহিনী দুটি আইইডি উদ্ধার করেছে। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তেলেঙ্গানা গ্রে হাউন্ডস এবং নকশালদের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুর জেলায় পুলিশ দুটি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) উদ্ধার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এনকাউন্টার শুরু হয়। 

জেলায় নকশাল বিরোধী অভিযানে অংশ নেওয়া যৌথবাহিনীর সদস্যদের খতম করার উদ্দেশ্যে আইইডিগুলি বসানো হয়েছিল। সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন অনুসারে, মাওবাদীরাই জেলায় নিরাপত্তা কর্মীদের টার্গেট করে আইইডি রেখেছে। সূত্রের খবর তারা আবুজমাদ এবং বস্তার অঞ্চলে স্থানীয়দের সমর্থন হারাচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর গত কয়েক মাসে, জেলার মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় তল্লাশি জোরদার করা হয়েছে। 

গত নভেম্বর মাসে, ছত্তীশগঢ়ের (Chhattisgarh) সুকমায় এনকাউন্টারে (Encounter) খতম করা হয় মাওবাদী কমান্ডার বাস্তা ভীমা (Basta Bheema)-কে। নিরাপত্তা বাহিনীর উপর অন্তত পক্ষে ৯টি প্রাণঘাতী হামলার সঙ্গে জড়িত ছিল সে। আর তাকে খতম করার ফলে এক বড় সাফল্য পায় যৌথ বাহিনী।  

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সন্ধে ৭টা নাগাদ সুকমার (Sukma) তাদমেটলা (Tadmetla) গ্রামের কাছেই অবস্থিত একটি জঙ্গলে যৌথ অভিযান চালায় পুলিশের রিজার্ভ গার্ড (DRG) ও সিআরপিএফ (CRPF) বাহিনীর ২০১ এলিট কোবরা ব্যাটেলিয়ন। সুকমার পুলিশ সুপারিন্ডেন্ট সুনীল শর্মা জানান, যৌথ বাহিনী ওই জঙ্গলের আশপাশেই রুটিন টহল দিচ্ছিল। ঠিক সেই সময় বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে যায় মাওবাদীরা (Naxal)। সঙ্গে সঙ্গে বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় পুলিশ ও সিআরপিএফ। শুরু হয় গুলির লড়াই। 

এভাবে বেশ কিছুক্ষণ দু'পক্ষের মধ্যে গুলির লড়াই চলার পরই নকশালদের তরফে গুলি চলা বন্ধ হয়ে যায়। তারপরই জঙ্গলের মধ্যে তল্লাশি অভিযান করে যৌথ বাহিনী। সেই সময় ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় ভীমার রক্তাক্ত দেহ। আর তার দেহ উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গে মাওবাদী দমন অভিযানে যৌথ বাহিনীর একটা বড় সাফল্য মিলেছে।