সংক্ষিপ্ত

গত ৫ মে বৃহস্পতিবার কেরলের চাঁদমুক্কুর দোকান থেকে এক মহিলা পরোটা অর্ডার করেন। সেই পরোটার প্যাকেট খুলতেই মাথায় হাত গ্রাহকের।

এই ঘটনাটি পড়ার পর হয় সুইগি বা জোম্যাটো থেকে খাবার অর্ডার দিতেই ইতস্তত বোধ করবেন সাধারণ মানুষ। প্যাক করা খাবার থেকে এই জিনিষও যে বেরোতে পারে, তা বোধহয় কল্পনার অতীত! তিরুঅনন্তপুরমের নেদুমনাগড়ে একটি হোটেলকে রীতিমতো বন্ধ করে দেওয়া হল ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর। খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিকরাও অবাক ঘটনাটি সামনে আসার পর। জানা গিয়েছে একজন গ্রাহক খাবারের পার্সেলে সাপের চামড়ার অবশিষ্টাংশ খুঁজে পেয়েছেন। গত ৫ মে বৃহস্পতিবার কেরলের চাঁদমুক্কুর দোকান থেকে এক মহিলা পরোটা অর্ডার করেন। সেই পরোটার প্যাকেট খুলতেই মাথায় হাত গ্রাহকের। 

দুপুরের খাবারের জন্য দু পিস পরোটা ও সস কিনেছিলেন গ্রাহক। ওই গ্রাহকের নাম প্রিয়া বলে জানা গিয়েছে। তার মেয়ে খাবার খাওয়ার পরে, যখন তিনি নিজের অংশ খেতে শুরু করেন, তখনই দেখা যায় মোড়কের কাগজে সাপের চামড়ার একটি অংশ আটকে রয়েছে। অবিলম্বে, মিসেস প্রিয়া তারপর পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেন যারা তাকে ফুড সেফটি অফিসারদের কাছে যেতে নির্দেশ দেয়। তিরুঅনন্তপুরম ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্টের সহকারী কমিশনার অনিল কুমার জানিয়েছেন যে হোটেলটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় মিউনিসিপ্যাল কর্তৃপক্ষ ওই হোটেলে তল্লাশি চালায় ও হোটেলটি বন্ধ করে দেয়। নেদুমনাগড়ের খাদ্য নিরাপত্তা আধিকারিক আরশিথা বশির জানান, যে রেস্তোরাঁর রান্নাঘরে পর্যাপ্ত আলো নেই এবং বাইরে নোংরা পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অফিসার জানান, প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেখা গেছে যে মৃত চামড়াটি খাবারের প্যাকিংয়ের জন্য ব্যবহৃত সংবাদপত্রে ছিল।

মিডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, পরোটার প্যাকিংয়ে সাপের মড়া চামড়াটি ছিল। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে হোটেলটিকে একটি শোকজ নোটিশ ধরানো হয়েছে। 

দিন কয়েক আগেই একটি এরকমই খবর সামনে আসে, তবে তা ভারতে নয়। সৌদি আরবের জেদা শহরের ঘটনা। বহু বছর পুরনো রেস্তরাঁ। বেশ নামডাকও ছিল। কিন্তু, সম্প্রতি জানা যায় সেই রেস্তরাঁয় সিঙারা-সহ অন্য স্ন্যাকসগুলি শৌচালয়ে তৈরি করা হয়। তবে সেটা গত কয়েক দিনের ঘটনা নয়। সেই ৩০ বছর ধরেই শৌচালয়েই সেগুলি তৈরি করা হয়। আর এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসার পরই সরকারিভাবে সেই রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এই বিষয়ে আগে থেকেই খবর ছিল জেদা পুরসভার কাছে। সেখানকার আধিকারিকরা জানতে পেরেছিলেন যে ওই রেস্তরাঁয় খাবার তৈরি করার ক্ষেত্রে সামান্যতম নিয়ম মানা হয় না। অপরিষ্কারভাবে প্রস্তুত করা হয় খাবার। যা শরীরের পক্ষে একেবারেই ভালো নয়। আর গত তিন দশক ধরে সেখানে ওই ভাবেই খাবার তৈরি করা হচ্ছে। এই ঘটনার কথা জানার পরই পুরসভার আধিকারিকরা পৌঁছে যান সেখানে। শুরু হয় অভিযান।