সংক্ষিপ্ত
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতির সংকট ও দেশের মানুষের করুণ অবস্থার পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রের হতশ্রী দশাতে রীতিমত শোকস্তব্দ প্রাক্তন লঙ্কা ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। তবে এতকিছুর পরেই জয়সূর্য আশাবাদী দেশে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরে আসবে।
শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতির সংকট ও দেশের মানুষের করুণ অবস্থার পাশাপাশি দেশের গণতন্ত্রের হতশ্রী দশাতে রীতিমত শোকস্তব্দ প্রাক্তন লঙ্কা ক্রিকেটার সনৎ জয়সূর্য। তবে এতকিছুর পরেই জয়সূর্য আশাবাদী দেশে দ্রুত গণতন্ত্র ফিরে আসবে। এই গণবিক্ষোভের ঝড় থেমে গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
প্রাক্তন অধিনায়ক এবং উপমহাদেশ থেকে উঠে আসা অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, জয়সূর্য রাজনীতিবিদদের তিরস্কার করেছেন। বলেছেন দেশের অবিবেচক রাজনীতিবিদনও দেশের পরিস্থিতি নষ্ট করেছে। "শ্রীলঙ্কার জনসাধারণ কী করবে এই পরিস্থিতিতে? আমার দেশ ভুগছে এবং প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী কেনার জন্য লোকজনকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। সেখানে বিদ্যুৎ নেই, জ্বালানি নেই এবং সর্বোপরি মৌলিক ওষুধগুলি পাওয়া যাচ্ছে না। সাধারণ মানুষের জন্য এর থেকে আর খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে না। জয়সূর্য সাংবাদ সংস্থা পিটিআইকে এই কথা বলেছেন।
গোটা ঘটনার জন্য জয়সূর্য গোতাবায়া রাজাপক্ষেকেই দায়ি করেছিলেন। তিনি বলেছেন রাষ্ট্রপতি গোটাবায়া রাজাপাকসে, যার ব্যর্থ অর্থনৈতিক নীতিগুলি সুন্দর দ্বীপ দেশটির কোমর ভেঙে গেছে তিনি মালদ্বীপে পালিয়ে গেছে বলে জানা গেছে এবং তার প্রাসাদিক বাসস্থানটি সাধারণ জনগণ দখল করে নিয়েছে। পরিস্থিতি যেভাবে তৈরি হয়েছে তা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। বলেও মন্তব্য করেন তিনি। তবে এক্ষেত্রে জনসাধারণের কোনও দোষ নেই বলেও জানিয়েছেন প্রাক্তন ক্রিকেটার।
দেশের জনগণের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকেই তিনি সমর্থন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যেসব নাগরিক শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতির বাড়ি ভিরতে গিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে কোনও ভুল তিনি দেখছেন না। কারণ তাদের বিক্ষোভে শান্তিপূর্ণ ছিল। তাদের বারবার বলা হয়েছে সরকারি সম্পত্তি ভাংচুর না করার জন্য। তারা সেই কথা রেখেছেন। অনেক লোক শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জায়গা থেকে এসেছেন। তারা সকলেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবি নিয়ে ৯ জুলাই কলম্বোতে পৌঁছেছিলেন। তাঁদের অনেকেই রাষ্ট্রপতির বাড়ির দখল নিয়েছেন। তিনি বলেন, "প্রত্যেককে রাষ্ট্রপতি ভবনের জিনিসপত্রের দেখাশোনা করতে বলা হয়েছিল কারণ কিছু জিনিস অনেক মূল্যবান। ভবনের ভেতরে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।"
জয়সূর্য আরও জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষেকে দেশ ছাড়তে বলা হয়নি। তাঁকে শুধুমাত্র রাষ্ট্রপতির পদ ছাড়তে বলা হয়েছিল। কিন্তু তিনি তা না করে দেশ ছেড়েই মালদ্বীপে চলেগেছেন। এটা যথাযথ কাজ করেননি। জনগণ তাঁর ওপর সম্পূর্ণ আস্থা হারিয়ে ফেলেছেন। তিনি আরও বলেছেন, অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ করা উচিৎ।