সংক্ষিপ্ত
স্বাধীনতা দিবসে প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। ১৫ অগাস্টের আগে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার।
স্বাধীনতা দিবসে প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা যাবে না। ১৫ অগাস্টের আগে বিভিন্ন রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এই নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। পরিবেশের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে। সহজে পচে না প্লাস্টিক, আর স্বাধীনতা দিবস মিটে যাওয়ার পর পতাকাগুলি যত্রতত্র পড়ে থাকতে দেখা যায়। তার থেকে দূষিত হয় পরিবেশ। তাই প্লাস্টিকের তৈরি পতাকা ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কেন্দ্র।
সব রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "জাতীয় পতাকা দেশের মানুষের আশা এবং আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। জাতীয় পতাকার প্রতি সর্বজনীন স্নেহ, শ্রদ্ধা এবং আনুগত্য রয়েছে। তবুও জাতীয় পতাকা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে অনেক সময় সাধারণ মানুষ এবং বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি সংস্থার মধ্যে সচেতনতার অভাব লক্ষ্য করা যায়।"
স্বাধীনতা দিবসের দিন জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহার করা হয়। তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। কারণ প্লাস্টিকে পচন ধরতে অনেকটা সময় লাগে। সহজে তা মাটির সঙ্গে মিশে যায় না। ফলে দীর্ঘদিন ধরে মাটিতে পড়ে থাকে। ফলে প্লাস্টিকের তৈরি পতাকার যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে সঠিক নিষ্পত্তি ঘটানো রীতিমতো সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। বাড়তে থাকে দূষণ। সেই কারণে প্লাস্টিকের তৈরি জাতীয় পতাকার পরিবর্তে কাগজের তৈরি জাতীয় পতাকা ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে।
আরও পড়ুন- ১৭বার বিবর্তিত হয়েছিল ভারতের জাতীয় পতাকা, জানুন সেই অজানা ইতিহাস
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের পর অনেক সময়ই পতাকাগুলিকে সেখানে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। সে প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে চিঠিতে লেখা হয়েছে, "তাই আপনাদের অনুরোধ করা হচ্ছে যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ জাতীয়, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া অনুষ্ঠানে 'ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া ২০০২' অনুযায়ী সবাই যেন কাগজের তৈরি পতাকাই ব্যবহার করেন। আর অনুষ্ঠান শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই পতাকাগুলি যে মাটিতে যেখানে সেখানে ফেলে না দেওয়া হয়। নির্দিষ্ট জায়গাতেই যেন সেগুলিকে ফেলা হয়। ভারতের জাতীয় পতাকাকে যথাযথ মর্যাদা দিয়ে সেগুলিকে নির্দিষ্ট স্থানে নিষ্পত্তি করতে হবে।"
আরও পড়ুন- বাঁশি বাজিয়ে সকলকে আনন্দ দিতেন বিরসা, কীভাবে হয়েছিলেন ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নায়ক
আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় দলীয় নেতাদের উপর হামলা, দিল্লিতে গান্ধীমূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ তৃণমূলের
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক চিঠির সঙ্গে 'দ্য় প্রিভেনশন অফ ইনসাল্টস টু ন্যাশনাল অনার অ্যাক্ট, ১৯৭১' এবং 'ফ্ল্যাগ কোড অব ইন্ডিয়া, ২০০২'-এর কপিও রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো হয়েছে।