সংক্ষিপ্ত
আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। স্কুলের সব ছাত্র ছাত্রীকে আপাতত বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দেশের করোনা পরিস্থিতি মোটামুটি ভাবে নিয়ন্ত্রণে। তবে স্বস্তিতে যে থাকা যাবে না, তার প্রমাণ মিলল। নয়াদিল্লির একটি বেসরকারি স্কুলে এক পড়ুয়া ও শিক্ষক দুজনেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে খবর মিলেছে। আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাকি পড়ুয়া ও অভিভাবকদের মধ্যে। স্কুলের সব ছাত্র ছাত্রীকে আপাতত বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
দিন কয়েক আগেই নয়ডা ও গাজিয়াবাদের বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে করোনা সংক্রমণের খবর মেলে। উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে অভিভাবকদের মধ্যে। বুধবার দিল্লিতে ২৯৯ জন নতুন করে কোভিড ১৯ আক্রান্ত হয়েছেন। যা দু'দিন আগে রেকর্ড করা দৈনিক গণনা থেকে ১১৮ শতাংশ বেড়েছে। দিল্লি স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে পজেটিভিটির হার দাঁড়িয়েছে ২.৪৯ শতাংশে।
দিল্লিতে কোভিড পজিটিভিটির হার এক সপ্তাহে ০.৫ শতাংশ থেকে ২.৭০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে, তবে চিকিৎসকদের দাবি এটা আতঙ্কের পরিস্থিতি নয়। কারণ দৈনিক কেসের সংখ্যা এখনও কম রয়েছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুসারে, বুধবার ২৯৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এদিকে, সোমবার ১৩৭ জন আক্রান্ত হন বলে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান জানাচ্ছে। তবে বুধবার এই রোগের কারণে কোনও মৃত্যুর ঘটনা রেকর্ড করা হয়নি।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই গুজরাটের জুনাগড় জেলার উমিয়া ধামের একটি ইভেন্ট ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভাষণ দিতে গিয়ে কোভিড-১৯এর সংক্রমণ নিয়ে সতর্ক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন মোদী বলেন, কোভিড-১৯ একটি বহুরূপী ভাইরাস। এটি সর্বদাই রূপ পরিবর্তন করছে। তাই কেউই জানে না এটি কখন পুনরুত্থিত হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন এই দেশের জনগণের সাহায্যে এখনও পর্যন্ত ১৮৫ কোটি ডোজ ভ্যাক্সিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন করোনা-মহামারি একটি বড় সংকট ছিল। কিন্তু এখনও জোর গলায় বলা যাবে না এই সংকট শেষ হয়েছে। মোদী বলেন বলা ভালো এটি বিরতি নিয়েছে। তিনি আরও বলেন এখনও পর্যন্ত কেউই জানে না কখন আবার করোনাভাইরাস দেখা যাবে। তিনি বলেন ভারতের টিকা কর্মসূচি বিশ্বকে অবাক করে দিয়েছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার স্বাস্থ্য অধিদফতর কোনো বুলেটিন জারি করেনি। সোমবার, ইতিবাচকতার হার ছিল ২.৭০ শতাংশ - দুই মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। পাঁচই ফেব্রুয়ারি ইতিবাচকতার হার ছিল ২.৮৭ শতাংশ। সর্বশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে, বুধবার জাতীয় রাজধানীতে কোভিড ১৯য়ে আক্রান্তের সংখ্যা ১৮,৬৬,৮৮১ এবং মৃতের সংখ্যা ২৬,১৫৮তে দাঁড়িয়েছে।