সংক্ষিপ্ত

 অমিত শাহের সাথে দেখা করে শুভেন্দু শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। আরও জানা গিয়েছে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে শীঘ্রই সিএএ কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৈঠকের আগে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এ বিষয়ে তথ্য দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন যে শুভেন্দু অধিকারী কিছু বিষয়ে আজ সংসদে তাঁর অফিসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে দেখা করতে চলেছেন। এটি একটি অভ্যন্তরীণ বিষয়, আমরা এখনই এটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে পারি না।

এদিকে, অমিত শাহের সাথে দেখা করে শুভেন্দু শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। আরও জানা গিয়েছে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাহকে শীঘ্রই সিএএ কার্যকর করার আহ্বান জানিয়েছেন। বৈঠকটি সংসদে অমিত শাহের কার্যালয়ে হয় এবং ৪৫ মিনিট ধরে চলে। শুভেন্দু অধিকারী বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তের গতিপ্রকৃতি এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অবহিত করেন।

বৈঠকের পরে, শুভেন্দু টুইট করে জানান, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সাথে সংসদে তাঁর অফিসে ৪৫ মিনিটের জন্য দেখা করা আমার জন্য সম্মানের। আমি তাকে অবহিত করেছি যে কীভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার শিক্ষক নিয়োগের মতো দুর্নীতিমূলক কাজে যুক্ত হয়েছে। এছাড়াও অমিত শাহকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সিএএ কার্যকর করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।"

উল্লেখ্য, নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন, ২০১৯ সংসদে ২০১৯ সালের ১১ই ডিসেম্বর পাশ হয়। এটি আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি বা খ্রিস্টানদের মত নির্যাতিত ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে। 

এদিকে, সোমবারই দিল্লির উদ্দেশ্যে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক মহলের ধারণা তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সারদা নারদা যোগ ফের একবার ধামাচাপা দিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি যাত্রা শুভেন্দুর। রাজ্য বিজেপি সূত্রের খবর ছিল শুভেন্দু অধিকারীকে ডেকে পাঠিয়েছেন অমিত শাহ। 

দিল্লিতে কি কি কর্মসূচি রয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য সোমবার মুখ খোলেননি বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেছিলেন ‘‘আমি দিল্লি যাচ্ছি ঠিকই। কিন্তু আমার কর্মসূচি প্রসঙ্গে কিছু বলা সম্ভব নয়।’’ তাই জল্পনা শুরু হয়। রাজ্যে তৃণমূলের একাধিক নেতা সম্প্রতি ইডি- সিবিআইয়ের জেরার মুখে পড়েছেন। মঙ্গলবারের বৈঠকে নিজের রক্ষাকবচ নিয়ে কি কিছু আলোচনা করবেন শুভেন্দু, প্রশ্ন উঠছিল। কারণ কোনওভাবেই এককালের সহযোদ্ধা তৃণমূল নেতাদের ইডির জেরায় পড়া স্বস্তি দিচ্ছে না শুভেন্দুকে। 

রাজ্যজুড়ে শুভেন্দুকে নারদা ও সারদা মামলায় গ্রেপ্তারের জোরালো দাবি তুলছে তৃণমূল। বিদায়ী রাজ্যপালকে দু’বার ডেপুটেশনও দিয়েছে বাংলার শাসকদল। নারদা কাণ্ডের এফআইআরে নাম থাকা শুভেন্দুকে জেরা না করা নিয়ে বিজেপির দলের অভ্যন্তরেও প্রবল অসন্তোষ রয়েছে।