সংক্ষিপ্ত
১৯৭৭ সালে জনতা সরকার ক্ষমতায় এসে টাটাদের হাত থেকে এয়ার ইন্ডিয়ার নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি নিজেদের হাতে নিয়ে নেয়। এরপর থেকেই পতন শুরু হয় এয়ার ইন্ডিয়ার।
অবশেষে টাটা গ্রুপের সঙ্গে জোট বেঁধে পথ চলা শুরু করছে এয়ার ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবারই তার আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হবে। প্রায় ৬৯ বছর পর এই দুই সংস্থা মিশে যেতে চলেছে। ঐতিহাসিক দিক থেকে এ এক মাহেন্দ্রক্ষণ বটে। বুধবার এই বিষয়ে তথ্য দিয়েছে টাটা গ্রুপ।
২০২১ সালের ৮ই অক্টোবর টাটা গ্রুপ এয়ার ইন্ডিয়ার অকশনে (Air India Sale) বিড জেতে। এজন্য টাটাকে দিতে হবে ১৮ হাজার কোটি টাকা (Rs 18,000 crore)। এয়ার ইন্ডিয়া পুরোনো কোনও কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে না বলে জানানো হয় টাটা গ্রুপের পক্ষ থেকে। প্রথম এক বছর তাঁদের রেখে দেওয়া হবে। এই মুহূর্তে দেশের বিমানবন্দরে এয়ার ইন্ডিয়ার কাছে ৪ হাজার ৪০০টি দেশীয় এবং ১ হাজার ৮০০টি আন্তর্জাতিক ল্যান্ডিং ও পার্কিং স্লট রয়েছে। একই সঙ্গে ৯০০টি জায়গা নেওয়া রয়েছে বিদেশের বিভিন্ন বিমানবন্দরে। এসবই টাটা গোষ্ঠীর নিয়ন্ত্রণাধীন হতে চলেছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে ভারত সরকার এয়ার ইন্ডিয়ার ৭৬ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করতে চেয়েছিল। আগের বার যে শর্ত দেওয়া হয়েছিল, তাতে সম্ভাব্য ক্রেতার ৩৩,৩৯২ কোটি টাকার ঋণ ও বর্তমান দায় নেবার কথা ছিল। মহারাজা মাসকটের জন্য বিখ্যাত এয়ার ইন্ডিয়ায় বর্তমানে স্থায়ী ও চুক্তি ভিত্তিক মিলিয়ে মোট কর্মী রয়েছেন ১৩,০০০ জন, যার মধ্যে পাইলটের সংখ্যা ১,৮৫০ বেশি এবং কেবিন ক্রু রয়েছেন ৪,৬০০ জন।
কেন্দ্র সরকারের প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক নথি জমা দিতে হবে, পাশাপাশি কেনার ব্যাপারে আগ্রহীদের এয়ার ইন্ডিয়ার ২৩,২৮৭ কোটি টাকা ঋণের ও অন্যান্য দায়িত্ব নিতে হবে। পাশাপাশি, এই বিমান সংস্থার মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ কোনও ভারতীয়র কাছেই থাকতে হবে।
Farewell Of Virat: অবসরে রাষ্ট্রপতির বডিগার্ড বিরাট, বিদায় জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদী
Amazing invitation card: তাক লাগানো আমন্ত্রণপত্র প্রজাতন্ত্র দিবসে, জেনে নিন সিড পেপার কী
১৯৩২ সালে টাটা গোষ্ঠীর হাত ধরেই শুরু হয়েছিল দেশের প্রথম বিমান সংস্থা। তখন এর নাম ছিল টাটা এয়ারলাইন্স। ১৯৪৬ সালে সেই সংস্থার নাম বদল করা হয় এয়ার ইন্ডিয়া। ১৯৫৩ সালে ওই সংস্থাটি কেন্দ্রীয় সরকার অধিগ্রহণ করেছিল। ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে কাজ করেছিলেন জেআরডি টাটা। এই মুহূর্তে বাজারে এয়ার ইন্ডিয়ার ঋণের পরিমাণ ৪৩ হাজার কোটি টাকা।
একসময় আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের প্রতিনিধিত্ব করত এয়ার ইন্ডিয়া। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সংস্থার ঋণ বাড়ে, রুগ্ন হয় শিল্প। অবশেষে ধুঁকতে থাকা এয়ার ইন্ডিয়ার রুগ্ন শরীরে নতুন প্রাণ সঞ্চার করতে ত্রাতার ভূমিকায় নামে টাটা গ্রুপ (Tata Group)।