সংক্ষিপ্ত

  • টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন 
  • হাসপাতাল ভর্তি করা হলে মৃত্যু হয় 
  • টিকার সঙ্গে কোনও যোগ নেই 
  • দাবি করেছেন স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক 
     


উত্তর প্রদেশের পর এবার তেলাঙ্গনা। করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মৃত্যু হল এক স্বাস্থ্যকর্মীর। স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে মঙ্গলার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ টিকা দেওয়া হয়েছিল ৪৩ বছরের স্বাস্থ্যকর্মীকে। বুধবার সকালেই বুকে ব্যাথা শুরু হয়। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও স্থানীয় স্বাস্থ্য আধিকারিক জানিয়েছেন মৃত্যুর সঙ্গে টিকা নেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। 


মৃত স্বাস্থ্যকর্মীর পরিবার জানিয়েছে, মঙ্গলবার সাড়ে ১১টা নাগাদ টিকা দেওয়া হয়েছিল তাঁর। এদিন সকাল থেকেই বুকে ব্যাথা শুরু হয়। দুপুর আড়াইটে নাগাদ বুকে ব্যাথা শুরু হয়। সাড়ে পাঁচটা নাগার হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। হাসপাতালের পক্ষ থেকে প্রাথমিক তদন্তের পর জানান হয়েছে টিকার কারণে মৃত্যু হয়নি। তবে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্ত করা হবে বলেও জানান হয়েছে। গত শনিবার থেকেই এই দেশে শুরু হয়েছে টিকাকরণ কর্মসূচি। 

পক্ষপাতিত্বের কথা আসছে কোথা থেকে, কৃষি আইন নিয়ে তৈরি কমিটি ইস্যুতে মন্তব্য প্রধান বিচারপতির ...

বিজেপি জিতলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, বিধানসভা ভোট নিয়ে কী বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ..

করোনাভাইরাসের টিকা গ্রহণ নিয়ে কিছুটা সংশয় তৈরি হয়েছে দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের। মঙ্গলবারই কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, কোভিড ১৯ মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ে যেসব স্বাস্থ্য কর্মী, নার্স ও চিকিৎসকরা জড়িয়ে রয়েছে তাঁদের টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে দ্বিধা করা উচিৎ নয়। একই সঙ্গে টিকা নিয়ে যে কোনওরকমের গুজব না ছড়ানোরও অনুরোধ করা হয়েছে দেশের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও সরকারের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের সদস্যদের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ভ্যাকসিন তৈরিতে যাথাসাধ্য প্রচেষ্টা করা হয়েছে।  কিন্তু দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা যদি এগিয়ে না আসেন তবে মহামারির সঙ্গে লড়াই করা যাবে না। মহামারিটি কী রূপ নিতে পারে তাও এখনও স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয় বলেও জানান হয়েছে। নীতি আয়োগের সদস্য চিকিৎসক ভিকে পল বলেছেন, প্রতিকূল প্রভাব ও গুরুতর সমস্যা সম্পর্কে উদ্বেগ ভিত্তিহীন ও তুচ্ছ বলেও মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেছেন, যদি বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়, তাহলে সবরকম প্রস্তুতিত নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন দুটিই নিরাপদ। টিকা গ্রহণের জন্য দেশের স্বাস্থ্য কর্মীদের এগিয়ে আসারও অনুরোধ জানান হয়েছে।