সংক্ষিপ্ত
সূত্রের খবর মেঘায়লে তৃণমূল ইউনিটের অবস্থা ঠিকঠাক নয়। এখনও পর্যন্ত দুই জন বিধায়ক ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে অনীহা প্রকাশ করেছেন।
মেঘালয়ে প্রধান বিরোধী দল হয়েও সংকটে তৃণমূল কংগ্রেস। মাত্র ৬ মাসের মধ্যেই দলের একাধিক বিধায়ক আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন বলে জানিয়েছেন একটি সূত্র। সূত্রের খবর ২০২৩ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটেও লড়তে রাজি নন অনেক বিধায়ক। তাঁরা বিধানসভায় ক্ষমতাসীন ন্যাশানাল পিপলস পার্ট বা তার মিত্রশক্তি ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক পার্টির সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেঘালয়ের প্রবীন তৃণমূল বিধায়ক জানিয়েছেন, তৃণমূল ছেড়ে এনপিপি বা ইউডিপিয়ে যোগদানের বিষয় নিয়ে আলচনা হচ্ছে। বিধায়করাও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা ও বিবেচনা করছেন। তিনি আরও বলেছেন, রাজ্যের ৬০ নির্বাচনী এলাকার অর্ধেকেরও বেশি খাসি ও জয়ন্তী পাহাড় এলাকায় পড়ে। কিন্তু সেখানে এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের কোনও গ্রহণযোগ্যতা তৈরি হয়নি।
সূত্রের খবর মেঘায়লে তৃণমূল ইউনিটের অবস্থা ঠিকঠাক নয়। এখনও পর্যন্ত দুই জন বিধায়ক ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়াতে অনীহা প্রকাশ করেছেন। বাকিরা এখনও প্রকাশ্যে কিছু জানায়নি। তবে এজাতীয় কথাবার্তা বলছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই বিধায়ক জানিয়েছেন তিনি পুরো বিষয়টি নিয়ে মুকুল সাংমার সঙ্গে কথা বলেছেন।
গত বছর নভেম্বর মাসে মেঘায়লের কংগ্রেসের ১৭জন বিধায়কের মধ্যে ১২ জন তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। যার মধ্যে ছিলেন মুকুল সাংমাও। তিনি মেঘায়লের প্রাক্তন মুখ্যমমন্ত্রী। কলকাতায় এসে তাঁরা ঘাসফুল পতাকা হাতে তুলে নিয়েছিলেন। এই ঘটনার পরই মেঘালয়ে তৃণমূল প্রধান বিরোধী দল হয়ে ওঠে। বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়ে ফেলে কংগ্রেস।
তবে এখন যা পরিস্থিতি স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মতে ৩৬ আসনের বাসিন্দারা বিশেষত খাসি ও জয়ন্তী পাহাড়ের ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রসকে মেনে নিতে চাইছে না। এলাকায় তৃণমূল বিরোধী ঢেউ উঠেছে। এই অবস্থায় অনেক বিধায়কই দল ছাড়ার চিন্তাভাবনা করছে।
মুকুল সাংমাও স্বীকার করে নিয়েছেন দুই বিধায়ক তৃণমূল ছাড়ার কথা বলেছেন। তাতে তাদের বলা হয়েছে অবস্থার উন্নতি করতে হবে। তবে এই বিষয়ে এনপিপির মুখপাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি বলেও সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে।