সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ত্রিপুরারয় দলীয় কর্মীদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদদের অবস্থান বিক্ষোভে তিনি দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন।

দিল্লির (Delhi) যাওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। সোমবার দুপুরে  চার দিনের সফরের জন্য দিল্লি রওনা দেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তার আগেই ত্রিপুরা ইস্যুতে মুখ খোলেন তিনি। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পরে তিনি ত্রিপুরা ইস্যুতে সরব হয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।  তিনি স্পষ্ট করে জনিয়েদিয়েছেন দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে তাঁর বুধবার দেখা করার কথা। সেই বৈঠকেই তিনি বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা বিএসএফ(BSF)-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি ও ত্রিপুরার (Tripura) সদস্য নিয়ে কথা বলবেন। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সাংসদদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ যে দেখা করতে চাননি তা নিয়েও উষ্মা প্রকাশ  করেছেন তিনি। মমতা বলেছেন সকাল থেকে নর্থ ব্লকে অবস্থান বিক্ষোভে বসে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদদের অ্যাপুয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়নি। 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন ত্রিপুরারয় দলীয় কর্মীদের ওপর আক্রমণের প্রতিবাদে তৃণমূল সাংসদদের অবস্থান বিক্ষোভে তিনি দেবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তাঁদের সঙ্গে কথা বলবেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করবেন। অবস্থানকারী দলীয় সাংসদদের প্রতি তাঁর সমর্থন রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। । তবে তিনি সর্বদাই দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের পাশে থাকবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন রবিবার রাত থেকেই তৃণমূল সাংসদরা দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছিলেন ত্রিপুরার ঘটনার প্রতিবাদ জানাতে। এদিন সকাল থেরেই সাংসদরা ধর্নায় বসেছেন। অমিত শাহর বাড়ির সামনে তৃণমূল সাংসদরা ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তিনি তাতে আপত্তি জানিয়েছেন বলেও সাংবাদিকদের বলেন। তিনি বলেন তাঁর কথা শুনেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছেন দলীয় সাংসদরা। 


মমতার অভিযোগ ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের প্রচার করতে দেওয়া হচ্ছে না।  তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ত্রিপুরায় দলীয় কর্মীদের মারধর করেছে বিজেপি। তিনি আরও বলেন, ধৃত তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী সায়নী ঘোষের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। তাঁরা যখন থানায় বসেছিল তখনও তাঁদের ওপর বটি-কাটারি নিয়ে হামলা চালান হয়েছিল। তাঁরা এই প্রসঙ্গ তুলে মমতা এদিন বলেন এখন কোথায় রয়েছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। ভারত সরকার ত্রিপুরা সরকারকে নোটিশ পাঠিয়েছে কিনা তাও জানতে চান তিনি। তিনি বলেন বিজেপি সরকার সংবিধানকে পরোয়া করে না। তাদের একমাত্র দায়িত্ব জনগণকে ঠকানো। তবে শেষ পর্যন্ত তারা পরাজিত হবে বলেও দাবি করেন তিনি।

ত্রিপুরার প্রসঙ্গ তুলে মমতা আরও বলেন, এই রাজ্যের সরকার সুপ্রিম কোর্টের প্রতিটি রায়কে সম্মান করে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলে। কিন্তু ত্রিপুরা সরকার সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মানছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাঁর অভিযোগ বিজেপি ও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টেরও নির্দেশ মানছে না। মমতা বলেন বিপ্লব দেবের সরকার যাতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে চলে তারও আবেদন তিনি সুপ্রিম কোর্টে জানাবেন বলে জানিয়েছেন। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট ত্রিপুরা পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও রাজনৈতিক দলই শান্তিপূর্ণ বাবে প্রচার করতে পারে সেই রাজ্যে। পুলিশ কখনই রাজনৈতিক দলের কার্যকলাপে আইন অনুসারী হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।