সংক্ষিপ্ত
নাইট ফ্রাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলট্রা হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিচুয়লের তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপি টাকার পরিমানে ধনী দেশের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে ভারত। সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ নাইট ফ্রাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সালে ভারতের অতি ধনী জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩.২ শতাংশ বা ৩৬৮ হবে।
সম্পত্তি বিশেষজ্ঞ নাইট ফ্রাঙ্ক (Knight Frank) মঙ্গলবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করে। সেই প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ২০২৬ সালে ভারতের অতি ধনী জনসংখ্যার হার বৃদ্ধি পেয়ে ৪৩.২ শতাংশ বা ৩৬৮ হবে। ২২৬ কোটি বা তার বেশী পরিমান সম্পত্তির মালিকানা থাকার নিরিখে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে, কলকাতায় (Kolkata) অতি ধনী জনসংখ্যা ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালে মাত্রাতিরিক্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৬ সালে যেখানে কলকাতায় অতি ধনী ব্যক্তিদের হার ছিল ১১৯, সেখানে ২০২১ সালে সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ২৫৭-তে। সৌজন্যে ২০২২ সালের নাইট ফ্র্যাঙ্কের (Knight Frank) প্রকাশিত রিপোর্ট। অন্যদিকে আলট্রা হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিচুয়লের রিপোর্ট অনুযায়ী মুম্বইয়ের পরিসংখ্যান এক হাজার ৫৯৬। অন্যদিকে আলট্রা হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিচুয়লের (Ultra High Net Worth Individual) রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে মুম্বইয়ের পর অতি ধনী জনসংখ্যার তালিকায় উঠে এসেছে হায়দরাবাদের নাম। এখানে অতি ধনী জনসংখ্যা হল ৪৬৭ ।
নাইট ফ্রাঙ্কের রিপোর্ট অনুযায়ী, আলট্রা হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিচুয়লের তথ্য অনুসারে ২০২১ সালে বিশ্বব্যাপি টাকার পরিমানে ধনী দেশের তালিকায় নিজের জায়গা করে নিয়েছে ভারত। আর অতি ধনী জনসংখ্যার টাকার পরিসংখ্যানের বিচারে প্রথম স্থানে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এখানে অতি ধনী ব্যক্তির মোট টাকার পরিমান ৭৪৮ বিলিনিয়ার। অপরদিকে ৫৫৪ বিলিনিয়ার সহযোগে অতি ধনী জনসংখ্যার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চীন। আর ১৪৫ বিলিনিয়ারের সঙ্গে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে ভারত। আলট্রা হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিচুয়লের নিরিখে ভারতের অন্যান্য শহর যেমন ব্যাঙ্গালুরুর আর্থিক গ্রোথ ১৭.১ শতাংশ থেতে ৩৫২ যেখানে দিল্লি ও মুম্বইয়ের গ্রোথ যথাক্রমে ১২.৪ শতাংশ থেকে ২১০ ও ৯ শতাংশ থেকে ১ হাজার ৫৯৬ । নাইট ফ্র্যাঙ্কের তরফে জানান হয়েছে, প্রথমবার আলট্রা হাই নেট ওর্থ ইন্ডিভিচুয়লের জনসংখ্যার পরবর্তী প্রজন্মের আকার বিশ্লেষণ করল যেটি বিশ্বের সম্পত্তি বাজারের ক্ষেত্রকে মূল্যায়ণ করবে।
নাইট ফ্রাঙ্কের রিপোর্টে যখন বিশ্বব্যাপি টাকার পরিমানে ধনী দেশের তালিকা নির্ধারণ করা হচ্ছে তখন বেশ কিছুদিন আগে বিশ্বের ধনী ব্যক্তির তালিকাও প্রকাশিত হয়েছিল। সেখানে দেখা গিয়েছিল সম্পত্তির পরিমানের ভিত্তিতে দুই শিল্পপতি মুকেশ আম্বানি ও গৌতম আদানির মধ্যে জোড় ট্ক্কর। আর সেই টক্করে রিল্যায়েন্স কর্তাকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ধনীর ব্যক্তির তালিকার শীর্ষস্থান ছিনিয়ে নিয়েছিলেন আদানি গ্রুপের তর্ণধার গৌতম আদানি।