সংক্ষিপ্ত
চতুর্থ দফার ভোট যুদ্ধ শুরু উত্তরপ্রদেশে। এই দফার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ চতুর্থ দফায় লখনউয়ের পাশাপাশি লখিমপুর খেরি, সীতাপুর, পিলিভিট, হরদোই, উন্নাও, রায়বরেলি-সহ মোট ৫৯টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে।
উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ দফায় ভোট দিতে এসে সমাজবাদী পার্টিকে নিশানা করলেন বিএসপি সুপ্রিমো মায়াবতী। মুসলিমদের আস্থা অর্জনে ব্যর্থ অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টি। সেই কারণে তারা মুসলিম ভোট পাবে না বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ সকালে লখনউয়ের মিউনিসিপাল নার্সারি স্কুলে তিনি ভোট দিতে গিয়েছিলেন। সেখানেই সমাজবাদী পার্টিকে একহাত নেন তিনি।
বৃহস্পতিবার উত্তরপ্রদেশে চতুর্থ দফার নির্বাচনের পর মায়াবতী বলেন, "মুসলিমরা সমাজবাদী পার্টির উপর একেবারেই খুশি নয়। মুসলিমরা তাদের ভোট দেবেন না। ইউপির মানুষ ভোট দেওয়ার আগেই এসপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে কারণ এসপিকে ভোট দেওয়া মানেই গুন্ডা রাজ, মাফিয়া রাজ। এসপি সরকারের সময় দাঙ্গা হয়েছিল। এসপি নেতাদের মুখই বলে দিচ্ছে তারা আর ক্ষমতায় আসছে না।"
চতুর্থ দফার ভোট যুদ্ধ শুরু উত্তরপ্রদেশে। এই দফার নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারণ চতুর্থ দফায় লখনউয়ের পাশাপাশি লখিমপুর খেরি, সীতাপুর, পিলিভিট, হরদোই, উন্নাও, রায়বরেলি-সহ মোট ৫৯টি আসনের ভাগ্য নির্ধারণ হবে। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, এর মধ্যে উন্নাও, লখিমপুর খেরির মতো আসনের উপর বিশেষ নজর থাকবে। উন্নাওয়ে একের পর এক ধর্ষণ এবং গতবছরই লখিমপুর খেরিতে কৃষকদের প্রতিবাদ সমাবেশে গাড়ি চালিয়ে আট জনকে হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে শাসকদল বিজেপির জন্য লড়াই কঠিন হতে পারে এই কেন্দ্রগুলিতে। নজরে থাকছে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত রায়বরেলিও।
চতুর্থ দফায় হেভিওয়েট প্রার্থীদের মধ্যে থাকছেন আইনমন্ত্রী ব্রিজেশ পাঠক, তিনি লখনউ ক্যান্টনমেন্ট থেকে দাঁড়িয়েছেন। এছাড়াও মন্ত্রী আশুতোষ টন্ডন (লখনউ ইস্ট), ইডি-র প্রাক্তন জয়েন্ট ডিরেক্টর রাজেশ্বর সিং(সরোজিনী নগর)-ও রয়েছেন, উল্টো দিকে সপা সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী অভিষেক মিশ্রও প্রার্থী হয়েছেন।