সংক্ষিপ্ত

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় এই প্রথমবার ভোটে লড়বেন অখিলেশ যাদব। ভোটের আগে জোট না হলেও  ভোটের পরে যদি জোটের প্রয়োজন হয় তাহলে জোটের রাস্তা খুলে রাখতে চায় কংগ্রেস। তার বলছেন, ভোটের আগে জোট হয়নি, কিন্তু ভোটের পরে প্রয়োজন হলে জোট হতেই পারে। এবার সেই বার্তাই অখিলেশের সমাজবাদী পার্টিকে দিল কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ও তার কাকা তথা সমাজবাদী প্রগতিশীল মোর্চার নেতা শিবপাল সিং যাদবের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দিল না কংগ্রেস। 

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় এই প্রথমবার ভোটে লড়বেন অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। মুলায়ম সিং যাদবের ঘরের মাঠ মইনপুরির কারহাল কেন্দ্র থেকে উত্তরপ্রদেশ বিধানসভায় (UP Elections 2022) প্রার্থী হয়েছেন অখিলেশ যাদব। কংগ্রেস প্রথম ওই কেন্দ্র থেকেই রাজ্য মহিলা মোর্চার এক নেত্রীকে  প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল যদি ও শেষ পর্যন্ত দলের শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে তিনি মনোনয়ন দেননি। অন্যদিকে এটোয়ার যশবন্ত নগরে কংগ্রেসের কোনও প্রার্থী নেই। ওই কেন্দ্র থেকে লড়ছেন অখিলেশ যাদবের কাকা তথা সমাজবাদী প্রগতিশীল মোর্চার নেতা শিবপাল সিং যাদব।  কংগ্রেস এই দুই নেতার বিরুদ্ধে প্রার্থী না দিলেও মায়াবতীর বিএসপি কিন্তু দুই কেন্দ্রেই দলিত প্রার্থী দিয়েছে।

ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের  (Congress ) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এটা সৌজন্য। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনে আমেঠি -রায়বরেলিতে রাহুল ও সোনিয়া গান্ধীর বিরুদ্ধেও প্রার্থী দেয়নি সমাজবাদী পার্টি। সেই কারণেই এবার অখিলেশদের বিরুদ্ধে কোনও দল প্রার্থী দিচ্ছে না। যদিও রাজনৈতিক মহল মনে করছে কংগ্রেসের এই পদক্ষেপ আসলে পরোক্ষে সমাজবাদী পার্টিতে দেওয়া জোট বার্তা। ভোটের আগে জোট না হলেও  ভোটের পরে যদি জোটের প্রয়োজন হয় তাহলে জোটের রাস্তা খুলে রাখতে চায় কংগ্রেস। তার বলছেন, ভোটের আগে জোট হয়নি, কিন্তু ভোটের পরে প্রয়োজন হলে জোট হতেই পারে। এবার সেই বার্তাই অখিলেশের  (Akhilesh Yadav) সমাজবাদী পার্টিকে দিল কংগ্রেস। সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব ও তার কাকা তথা সমাজবাদী প্রগতিশীল মোর্চার নেতা শিবপাল সিং যাদবের বিরুদ্ধে কোনও প্রার্থী দিল না কংগ্রেস (Congress )

। 

 

উত্তরপ্রদেশে ভোটের আগে সমাজবাদী পার্টির সঙ্গে জোটে আগ্রহী ছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi Vadra)। তবে শেষ অবধি সকলের আগ্রহ ছিল না । কারণ উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস এখন অনেকটাই শক্তিহীন। তাই আগের মতো কংগ্রেসকে অতটাও গুরুত্ব দিতে চায় নি সমাজবাদী পার্টি। উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে সরাসরি জোট করে কংগ্রেস বা সমাজবাদী পার্টি কোনও শিবিরই খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। তাই এবারে সরাসরি জোট হয়নি।  তবে ভিতরে ভিতরে প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে দুই দলের মধ্যেই বোঝাপড়া আছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। শুধু তাই নয়, অখিলেশকে ভোট পরবর্তী জোটের বার্তা দিতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস, তেমনটাই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।