সংক্ষিপ্ত


উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২-এর (Uttar Pradesh Elections 2022) দিন ক্রমে এগিয়ে আসলেও চলছে দলবদল। বিজেপির (BJP) পদত্যাগী নেতারা প্রমাণ করলেন তাদের কাছে দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থটাই বড়।

উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন ২০২২-এর (Uttar Pradesh Elections 2022) দিন ক্রমে এগিয়ে আসছে। কিন্তু, রাজ্যে দলবদলের প্রক্রিয়া এখনও চলছে। সব দলেরই ছোট-বড় নেতারা প্রতিনিয়ত দল  ছেড়ে অন্য দলে যাচ্ছেন। প্রতি নির্বাচনের আগেই নেতাদের দলবদল দেখা যায়। তবে আসন্ন উত্তরপ্রদেশ নির্বাচনে সেই প্রক্রিয়া থামার নামই নিচ্ছে না। এমনকী বিভিন্ন দলের পদস্থ নেতারাও, তাঁদের পদ ছেড়ে দিয়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। রবিবারও, এক বিজেপি (BJP) বিধায়ক পদত্যাগ করে সমাজবাদী পার্টিতে (Samajwadi Party) যোগ দিয়েছেন। গত কয়েকদিনে দলবদলের খেলায় বহু বিজেপি নেতাই গেরুয়া শিবির ছেড়ে সপা বা অন্যান্য দলে ঠাই নিয়েছেন। কিন্তু এই দলত্যাগের মধ্যে একটা বিষয় স্পষ্ট, এই রাজনীতিবিদদের কাছে দেশের স্বার্থের চেয়ে নিজেদের স্বার্থটাই বড়।

রবিবার, বিজেপি নেতা তথা ফতেহাবাদ (Fatehabad) আসনের বিধায়ক জিতেন্দ্র ভার্মা (Jitendra Verma) দলীয় পদ এবং দল দুটোই ছেড়ে সপা'তে যোগ দিয়েছেন। দল ছাড়ার পিছনে কোনও কারণ জানাননি তিনি। তবে, আসন্ন নির্বাচনে দল তাঁর জায়গায় অন্য নেতাকে টিকিট দেওয়াতেই যে জিতেন্দ্র ভার্মার দলত্য়াগের কারণ, তা বুঝতে আর কারোর বাকি নেই। আগ্রার (Agra) সমস্ত বিধানসভা আসনের জন্যই  বিজেপি, তাদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে। জিতেন্দ্র ভার্মা, ফতেহাবাদ আসনের গতবারের জয়ী বিধায়ক হলেও, বিজেপি প্রার্থী করেছে ছোটেলাল ভার্মাকে (Chhotelal Verma)। আর এতেই ক্ষুব্ধ বিধায়ক বিজেপি ছেড়েছেন। 

আরও পড়ুন - Akhilesh Yadav to fight UP poll: যাদব গড় থেকে প্রথমবার বিধানসভা ভোটে লড়ছেন অখিলেশ

আরও পড়ুন - UP Elections 2022: এবার উত্তরপ্রদেশে প্রচারে মমতা, অখিলেশের সঙ্গে করবেন ভার্চুয়াল সভা

আরও পড়ুন - Akhilesh Yadav Vishnu avatar: অখিলেশ যাদব বিষ্ণুর অবতার, তাঁর মন্দিরে ২৪ ঘন্টাই জ্বলে প্রদীপ

জিতেন্দ্র অবশ্য আগে সপা'তেই ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের বিধানসভা নির্বাচনে, তিনি ফতেহাবাদ আসন থেকে সপা প্রার্থী রাজেন্দ্র সিংকে (Rajendra Singh) ৩৩ হাজার ভোটে পরাজিত করেছিলেন। আবারও সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত স্বার্থে দল ছেড়ে সপায় ফিরলেন তিনি। দলে ফেরার সঙ্গে সঙ্গে এই বিদ্রোহী বিধায়ককে, আগ্রার জেলা সপা সভাপতি করে দিয়েছেন অখিলেশ যাদব।

২০১৭ সালে নির্বাচনের ফল কী হতে চলেছে, তা মোটামুটি স্পষ্ট ছিল। ২০১৪ সাল থেকেই বিজেপির পালে হাওয়া লেগেছিল। তবে, ২০২২-এ কারা জয়ী হবে, তা কেউই অনুমান করতে পারছেন না। সমাজবাদী পার্টির প্রতিটি জনসভায় ব্যাপক ভিড় হচ্ছে। অন্যদিকে, বিজেপিও কারোর থেকে পিছিয়ে নেই। কংগ্রেসের (Congress) 'লড়কি হুঁ, লড় সকতি হুঁ', স্লোগানও উত্তরপ্রদেশের জনতার মধ্যে দারুণ উত্সাহের সঞ্চার ঘটিয়েছে। পাশাপাশি বহুজন সমাজ পার্টিও (Bahujan Samaj Party) ধারাবাহিকভাবে শক্তি বাড়িয়ে চলেছে। এই কঠিন লড়াইয়ের মুখে, বিজেপি এবার তাদেরকেই প্রার্থী করছে, বিভিন্ন সমীক্ষায় যাদের জেতার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ বলে প্রমাণিত হয়েছে। 

গত কয়েকদিনে, উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের তিন মন্ত্রী - শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী স্বামীপ্রসাদ মৌর্য, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী দারা সিং চৌহান এবং আয়ুষ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্ব) ধরম সিং সাইনি, বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁদের পথ অনুসরণ করেছেন আরও এক গুচ্ছ বিজেপি বিধায়ক - বান্দার তিন্দওয়ারির বিধায়ক ব্রিজেশ প্রজাপতি, শাহজাহানপুরের তিলহারের বিধায়ক রোশনলাল ভার্মা, কানপুরের বিলহাউরের বিধায়ক ভগবতীপ্রসাদ সাগর, আউরাইয়ার বিধুনার বিধায়ক বিনয় শাক্য, খলিলাবাদের বিধায়ক দিগ্বিজয় নারায়ণ ওরফে জয় চৌবে, বাহরাইচের নানপাড়া কেন্দ্রের বিধায়ক মাধুরী ভার্মা এবং সীতাপুরের বিধায়ক রাকেশ রাঠোর।