সংক্ষিপ্ত

  • রামায়ণ অনুযায়ী অযোধ্যার আলোর সাজ থেকেই দীপাবলি উৎসবের সূচনা
  • এই বছর দীপাবলিতে অযোধ্যা অন্ধকারেই থাকবে
  • বিতর্কিত জমিতে প্রদীপ জ্বালার অনুমতি চেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ
  • বিষয়টি বিচারাধীন বলে অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার সেই অনুমতি দেননি

 

রামায়ণ অনুযায়ী রাবণ বধের পর রামের প্রত্যাবর্তণ উপলক্ষ্যে আলোর সাজে সেজেছিল অযোধ্যা নগরী। সেই থেকেই দীপাবলি উৎসবের সূচনা। অথচ বিশেষ কিছু না ঘটলে এই বছর দীপাবলিতে অযোধ্যার রাম জন্মভূমি বলে দাবি করা এলাকাটি অন্ধকারেই থাকবে।

মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির চেষ্টা চালাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট। এর মধ্য়ে দীপাবলিতে নতুন করে ঝামেলা বাধার আশঙ্কা দেখা দিল। দীপাবলি উপলক্ষ্যে অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে প্রদীপ জ্বালার অনুমতি চেয়েছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার সেই অনুমতি দেননি। তিনি সাফ জানিয়ে বিষয়টি আপাতত বিচারাধীন। তাই নতুন করে কিছু করা যাবে না। প্রদীপ জ্বালতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতি চাই।

সোমবারই এই বিষয়ে ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেন ভিএইচপি নেতা শরদ শর্মা। এরপরই অযোধ্যা মামলার মুসলিম পক্ষের নেতা হাজি মেহবুব এর বিরোধিতা করেন। তিনি হুমকি দিয়েছেন, প্রশাসন থেকে যদি বিতর্কিত জমিতে প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি দেওয়া হয়, তবে তিনিও সেখানে নামাজ পরার অনুমতি চাইবেন।   

তবে সুপ্রিম কোর্টে অযোধ্যা মামলা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। এমনকি বেশ কিছু মুসলিম সংগঠনও এখন অযোধ্যার জমির দাবি ছেড়ে দিতে চেয়েছেন। এই অবস্থায় অযোধ্যার জমিতে দীপাবলিকে কেন্দ্র করে নতুন করে জামেলা করতে চাইছে না বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। মোহান্ত কানহাইয়া দাস জানিয়েছেন, তাঁরা সংবিধান ও আদালত মেনেই চলবেন। অযোধ্যায় রামলালার যে কাছঠের মন্দিরটি রয়েছে, শুধুমাত্র সেখানেই তাঁরা প্রদীপ জ্বালানোর অনুমতি চেয়েছেন। শেষ পর্যন্ত অনুমতি না পেলে তাঁরা প্রশাসনের হাতেই প্রদীপগুলি দিয়ে দেবেন।