সংক্ষিপ্ত
নোটবন্দির পর দিনের পর দিন দুশ্চিন্তায় কেটেছে দেশবাসীর। নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা দায়ের হলে, কেন্দ্র জানিয়েছিল, মামলাটির বিষয় এখন ‘কেতাবি’ হয়ে গেছে।
২০১৬ সাল থেকে ২০২২। ভারতে নোটবন্দির পর প্রায় ছ’বছর অতিবাহিত। কিন্তু, তা সত্ত্বেও দেশবাসীর ভবিষ্যৎকে এই নোটবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে, এমনটাই সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন কেন্দ্র সরকারের বিপক্ষের আইনজীবীরা। সেই যুক্তি মেনে নিল উচ্চ আদালত। ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২২ দেশের শীর্ষ আদালত জানিয়েছে যে, কেন্দ্রের মোদী সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া পুনর্বিবেচনা করে দেখা হবে। দেশবাসীর ভবিষ্যতের স্বার্থে এই বিষয়টির প্রকৃত জবাব পাওয়া জরুরি।
বুধবার নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিরোধী পক্ষের করা ৫৮টি মামলার শুনানি চলাকালীন কেন্দ্র সরকারের তরফে আদালতকে বলা হয়, ঘটনাটির পর ৬ বছর কেটে গিয়েছে। বিষয়টি এখন কেতাবি হয়ে হয়ে গিয়েছে। পালটা যুক্তি দেন বিপক্ষ দলের আইনজীবীরাও। উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দেয়, নোটবন্দি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাব দেওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ কর্তব্য। আদালত আরও স্পষ্ট করে জানিয়ে দেয় যে, ‘‘সাংবিধানিক বেঞ্চ এ ব্যাপারে যে প্রশ্ন তুলেছে দেশের ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আদালতকে তার জবাব দিতে হবে।’’
বুধবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, নোটবন্দি সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়াটি তারা খতিয়ে দেখবে। এমনকি, এ ব্যাপারে কেন্দ্র এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রতিক্রিয়াও চেয়েছে শীর্ষ আদালত। দু’পক্ষকেই হলফনামার আকারে জমা দিতে বলা হয়েছে তাদের বক্তব্য। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিচারপতি বিপি গভাই, বিচারপতি এএস বোপান্না, বিচারপতি ভি রামাসুব্রহ্মণ্যম এবং বিচারপতি বিভি নাগারত্নের সাংবিধানিক বেঞ্চে মামলাগুলি উঠেছে। ৫৮টি মামলা গ্রহণ করে আগামী ৯ নভেম্বর পরবর্তী শুনানি হবে বলে বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে।
২০১৬ সালে নরেন্দ্র মোদী সরকার নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। একটি মাত্র ঘোষণায় দেশের সমস্ত ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তার পর দিনের পর দিন দুশ্চিন্তায় কেটেছে দেশবাসীর। এটিএম, ব্যাঙ্কে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোগান্তির শিকার হয়েছেন মানুষ। নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে করা মামলাগুলি আদালতে উঠলে কেন্দ্রের বক্তব্য ছিল, ঘটনাটির পর দীর্ঘ ছ’বছর কেটে গিয়েছে। তাই ওই মামলাটির বিষয় এখন ‘কেতাবি’ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এর পাল্টা বিপক্ষের আইনজীবী পি চিদম্বরম এবং আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান বলেন, বিষয়টি কখনওই ‘কেতাবি’ হতে পারে না কারণ, নোটবন্দির ওই সিদ্ধান্তে প্রশ্ন উঠেছিল সরকারের এক্তিয়ার নিয়েই। আর সেই এক্তিয়ারের প্রশ্ন দেশের ভবিষ্যৎকেও প্রভাবিত করবে। এর পরই বিষয়টি খতিয়ে দেখার কথা জানায় সুপ্রিম কোর্ট।
আরও পড়ুন-
‘টিভি দেখছ?’ ফোনে জিজ্ঞেস করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী, কীভাবে তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্করের প্রিয় মানুষ?
স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও ভারতে মানবাধিকার লঙ্ঘিত? সরব সলমন রুশদি সহ বহু বিশ্ববরেণ্য লেখক
শাড়ি আলতা চন্দন এখন আর শুধু মেয়েদের দখলে নয়, মোহময় পুরুষের ছবি শেয়ার করে টুইটারে আবেগতাড়িত তসলিমা নাসরিন