সংক্ষিপ্ত

গত এক সপ্তাহ ধরেই হু হু করে বাড়ছে তেলের দাম। আর এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। এবার এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রামদেবকে। তা নিয়ে দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রমের পরামর্শ দিলেন তিনি। 

বেশ কয়েক মাস জ্বালানির দাম স্বস্তি দিচ্ছিল সাধারণ মানুষকে। কারণ বেশ কিছু মাস তেলের দাম একেবারেই বাড়েনি। তারপর গত কয়েক দিন ধরেই লাগাতার বেড়ে চলেছে দাম। ইতিমধ্যেই দেশের বিভিন্ন শহরে ১০০-র গণ্ডি ছাড়িয়ে তেলের দাম অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর তার ফলে নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। এদিকে তেলের দাম বৃদ্ধির বিরোধিতায় সরব বিরোধীরা। আর এবার তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে দেশবাসীকে পরামর্শ দিলেন যোগগুরু রামদেব। 

গত এক সপ্তাহ ধরেই হু হু করে বাড়ছে তেলের দাম। আর এই নিয়ে সরব বিরোধীরা। এবার এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল রামদেবকে। এ প্রসঙ্গে দেশবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, "আমার মতো একজন সন্ন্যাসীও কঠোর পরিশ্রম করতে পারে। এই মুদ্রাস্ফীতির মোকাবিলা করার জন্য সাধারণ মানুষকে তাদের উপার্জন বাড়ানোর জন্য কঠোর পরিশ্রম করতে হবে।"

আরও পড়ুন- আজ ফের নবমবার, পেট্রোলের দাম বেড়ে ১১০-র গণ্ডী পার কলকাতায় ! জ্বালানীর কী দর সারাদেশে ?

এর আগে তেলের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে রামদেব বলেছিলেন, বিজেপি ক্ষমতায় আসলে তেলের দাম কমে যাবে। আর এবার যখন তেলের দাম বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় তখন তিনি পাল্টা দেশবাসীকে কঠোর পরিশ্রম করার পরামর্শ দেন। বলেন, "দেশ চালাতে সরকারকে কর সংগ্রহ করতে হবে। একজন সন্ন্যাসী হয়ে যখন আমি ১৮ ঘণ্টা কাজ করতে পারি, তাহলে দেশের সব মানুষকেই কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। একমাত্র তার মাধ্যমেই এই মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে তাঁরা মোকাবিলা করতে পারবেন।"

আরও পড়ুন- কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য সুখবর, ৩ শতাংশ বাড়ান হয় মহার্ঘভাতা

গত বছর দিওয়ালির আগে পর্যন্ত প্রায় প্রতিদিনই পেট্রোল ও ডিজেলের দাম বাড়তে দেখা গিয়েছিল। দেশের সব শহরেই পেট্রোলের দাম বাড়তে বাড়তে সেঞ্চুরি করে ফেলেছিল। পিছিয়ে ছিল না ডিজেলও। আর তেলের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছিল বাজার দরের উপর। প্রায় সব জিনিসেরই দাম বাড়তে শুরু করে। তা নিয়ে প্রতিবাদও শুরু করেছিল বিরোধীরা। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ আন্দোলনে সামিল হয়েছিল তারা। তেলের দাম বৃদ্ধির জন্য তারা দায়ি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারকে। তারপরই দিওয়ালির সময় সবাইকে চমকে দিয়ে পেট্রোল ও ডিজেলের উপর থেকে এক্সাইজ ডিউটি কমায় কেন্দ্র। গোটা দেশেই ৪ নভেম্বর কেন্দ্র পেট্রোল ও ডিজেলে যথাক্রমে পাঁচ ও ১০ টাকা উৎপাদন শুল্ক হ্রাস করার সিদ্ধান্ত নেয়। যার ফলে তেলের দাম অনেকটাই কমে যায়। তারপর থেকে বেশ কয়েক মাস দেশে অপরিবর্তিত থাকে তেলের দাম। কিন্তু, চলতি মাস থেকে ফের জ্বালানির দাম বাড়তে শুরু করেছে। আর তার ফলে নাভিশ্বাস উঠছে দেশবাসীর। 

উল্লেখ্য, আজ কলকাতায় ৮৩ পয়সা এবং ৮০ পয়সা বৃদ্ধির পর পেট্রোলের প্রতি লিটারের দাম দাঁড়িয়েছে ১১১ টাকা ৩৫ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম ৯৬ টাকা ৬২ পয়সা। দিল্লিতে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১০১ টাকা ৮১ পয়সা। এবং ডিজেলের দাম ৯৩টাকা ০৭ পয়সা। মুম্বইয়ে লিটার প্রতি পেট্রোলে ৮৪ পয়সা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ টাকা ৭২ পয়সা। আর ডিজেল ১০০ টাকা ৯৪ পয়সায় দাঁড়িয়েছে। চেন্নাইতে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম বেড়েছে ৭৬ পয়সা। যার ফলে দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৭ টাকা ৪৫ পয়সা। আর লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯৭ টাকা ৫২ পয়সা।