সংক্ষিপ্ত

কাবুলের দাশত-ই-বার্চি জেলায় একটি মিনিবাসে বোমা বিস্ফোরণে দুজন সাধারণ মানুষ মারা যান। আহত হন চারজন।  

শুক্রবার আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের (Kabul) পশ্চিমে পৃথক বোমা বিস্ফোরণে (Separate Bomb Explosions) দুজন নিহত (Two people) ও চারজন আহত (Four Injured) হয়েছে। এই তথ্য দিয়েছে তালিবান সরকার। কাবুলের দাশত-ই-বার্চি জেলায় একটি মিনিবাসে বোমা বিস্ফোরণে দুজন সাধারণ মানুষ মারা যান। আহত হন চারজন।  তালিবান সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মুখপাত্র সাঈদ খোস্তি সাংবাদিকদের বলেছেন এই তথ্য। 

সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে একই এলাকায় আরেকটি বিস্ফোরণে, একজন মহিলা আহত হয়েছেন। সাইদ খোস্তি আরও বলেন, দ্বিতীয় বিস্ফোরণটিও একটি বোমা থেকে হয়। হামলার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী দায় স্বীকার করেনি। উল্লেখ্য, দাশত-ই-বারচির বেশিরভাগ অংশ শিয়া হাজারা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষে পূর্ণ। যারা বছরের পর বছর ধরে জিহাদি ইসলামিক স্টেট-খোরাসান (আইএসআইএস) গ্রুপের হিংলাত্মক কার্যকলাপের টার্গেট। 

উল্লেখ্য, নভেম্বর মাসেই ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তান। আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় নানগারহার প্রদেশের স্পিনঘর জেলার একটি মসজিদে বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় কমপক্ষে তিনজনের। মসজিদের ইমামসহ অন্তত ১৫ জন আহত হযন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান বেলা দেড়টা নাগাদ এই বিস্ফোরণ হয়। নানগারহার প্রদেশ ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠীর মুক্তাঞ্চল। তবে কোনও গোষ্ঠী এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। 

ওই এলাকার বাসিন্দা অটল শিনওয়ারি জানান, দুপুর দেড়টার দিকে বিস্ফোরণ ঘটে। যখন মসজিদের ভিতরেই বিস্ফোরক রাখা ছিল, যা থেকে এই বিস্ফোরণ ঘটে। যখন বিস্ফোরণ হয়, তখন শুক্রবারের নমাজ চলছিল। ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বেশি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক আধিকারিক। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফগানিস্তানে পরপর বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। তালিবানরা বারবার যে দাবি করে এসেছে, আফগানিস্তানে তারা শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছে, সেই দাবি যে মিথ্যে, তা প্রমাণিত। 

উল্লেখ্য, ইসলামিক স্টেট-খোরাসান, আইসিস গোষ্ঠীর স্থানীয় শাখা, প্রথমে নানগারহার প্রদেশে ঘাঁটি গাড়ে। ২০১৫ সালে এই জঙ্গিগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব স্বীকৃতি পায়। গোষ্ঠীটির আফগানিস্তানে তুলনামূলকভাবে ছোট কিন্তু শক্তিশালী উপস্থিতি ছিল এবং সাম্প্রতিক বছরগুলিতে দেশের সবচেয়ে মারাত্মক কিছু হামলার জন্য দায়ী ছিল এই গোষ্ঠী। এই গোষ্ঠী একাধিকবার মসজিদ, মাজার, পাবলিক স্কোয়ার এবং এমনকি হাসপাতালে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার জন্য দায়ি। 

১৫ই অগাষ্ট তালিবানের ক্ষমতায় ফিরে আসার পর থেকে, আইসিস কাবুল বিমানবন্দরে একটি সহ একাধিক রক্তক্ষয়ী হামলার দায় স্বীকার করেছে। ততদিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলি তাদের নাগরিকদের এবং সেনাদের আফগানিস্তান থেকে সরিয়ে নিয়েছে। কাবুল বিমানবন্দরে হামলার ফলে মারা যান ১৩ জন মার্কিন সেনা। এই বিস্ফোরণে একদিনে যা ক্ষতি হয়, তা ২০১১ সালের পর পেন্টাগনের জন্য সবচেয়ে বড় ছিল।