সংক্ষিপ্ত
দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের বারদিয়ানস্কের কাছে সামরিক সরঞ্জাম, আর্টিলারি এবং জ্বালানী ডিপো জমা করেছে রাশিয়ান সেনা। ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর পরিত্যক্ত একটি ঘাঁটি দখল করা হয়েছে।
ভেঙে পড়ছে একের পর এক হাসপাতাল, স্কুল ভবন, বাড়ি। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে কিইভের কাছের শহর জাইটোমিরের একটি স্কুল ধ্বংস হয়েছে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। রাশিয়ান বাহিনী (Russian military) এখন পর্যন্ত ২০২টি স্কুল, ৩৪টি হাসপাতাল এবং দেড় হাজারেরও বেশি আবাসিক ভবন ধ্বংস করেছে (202 schools, 34 hospitals in Ukraine destroyed)। প্রায় ৯০০টি জন বসতি বিদ্যুৎ, জলহীন অবস্থায় রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, দক্ষিণ-পূর্ব ইউক্রেনের বারদিয়ানস্কের কাছে সামরিক সরঞ্জাম, আর্টিলারি এবং জ্বালানী ডিপো জমা করেছে রাশিয়ান সেনা। ইউক্রেনের নিরাপত্তা বাহিনীর পরিত্যক্ত একটি ঘাঁটি দখল করা হয়েছে।
এছাড়াও সাইটটিতে নয়টি টাউড হাউইটজার 2-65 "Msta B", তাদের জন্য KRAZ ভিত্তিক নিয়মিত ট্রাক্টর, একটি ব্যাটারি ডিভিশন কন্ট্রোল কমপ্লেক্স একটি APC 60-PB-এর উপর ভিত্তি করে একটি রেঞ্জফাইন্ডার, রাতের নজরদারি ডিভাইস, একটি SNAR-1 আর্টিলারি রিকনেসান্স কমপ্লেক্স রয়েছে। এদিকে, রাশিয়া মানবিক করিডোর খোলার ঘোষণা করেছে। রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে কিয়েভ, চেরনিগভ, সুমি, খারকিভ এবং মারিউপোল থেকে মানবিক করিডোর খোলার ঘোষণা করেছে।
প্রাণ বাঁচাতে যে সব নাগরিকরা শহর ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছেন, যুদ্ধ চলাকালীন তাদের ওপর যাতে হামলা না চালানো হয়, বা কোনও প্রাণহানি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রাশিয়ার এই সিদ্ধান্ত বলে জানানো হয়। মস্কোর স্থানীয় সময় ১০টা থেকে এটি খুলে দেওয়া হবে ও ১১ ঘন্টা এই মানবিক করিডর খোলা রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে।
কয়েক বছরের মধ্যেই বসবাসের অযোগ্য হয়ে যাবে কলকাতা, বাড়বে গরম, আশঙ্কা আইপিসিসি রিপোর্টে
রাশিয়া উচ্ছেদ বাসে হামলা করেছে
অপরদিকে, ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে রুশ সেনারা কিয়েভ অঞ্চলের একটি শরণার্থী বাস এবং বেশ কয়েকটি গ্রামে গোলা বর্ষণ করেছে। হামলায় তিনজন আহত হয়েছে বলে ইউক্রেন দাবি করেছে। কিয়েভ ছাড়াও রুশ বাহিনী খারকিভ, মারিউপোল এবং সুমিতে হামলা চালানো বন্ধ রেখেছে। একদিন আগে মারিউপোলে একই ধরনের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। তবে গুলি চালানোর কিছুক্ষণ বিরতির পরে, ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা অভিযোগ করেন যে রাশিয়ান বাহিনী আবার কামান গুলি এবং বিমান হামলা শুরু করেছে। ফলে মানবিক করিডরের কাজ বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে, কয়েক সপ্তাহের সামরিক তৎপরতার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করে। এই হামলা এখন ১২ তম দিনে পড়েছে। এদিকে, এখনও পর্যন্ত রুশ সেনাকে প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের মাটি আঁকড়ে পড়ে রয়েছন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky)। তিনি যুদ্ধের ইউক্রেন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যাবেন না, তা আগেই ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন কিয়েভে থেকেই রুশ সেনার আগ্রাসনের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন তিনি।