সংক্ষিপ্ত
ডোকলামের পরই তলে তলে যুদ্ধের প্রস্তুতি চিনের
হাই অল্টিটিউড সমরাস্ত্রে রীতিমত শক্তিশালী চিন
হাতে রয়েছে টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক অত্যাধুনিক ড্রোন
যা প্রদর্শিত হয়েছিল একাধিক প্রদর্শনিতে
রীতিমত যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করেছে চিন। তবে সেটা এখনই নয়। ২০১৭ সালে ডোকলামের পরবর্তী সময় থেকে। চিনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর হাই অল্টিচিউটে যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনী অস্ত্রের সংখ্যা অনেকটাই বাড়িয়েছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি।
২০১৭ সালে ডোকলাম সীমান্তে ভারতের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল চিনের ,সেনাবাহিনী। তারপর থেকেই উচ্চ- উচ্চতায় যুদ্ধের জন্য নিজেদের সেনাবাহিনীকে প্রস্তুত করছিল সেদেশের কমিউনিস্ট সরকার। সূত্রের খবর চিনের হাতে পয়েছে টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক, জেড-২০ ড্রোন। যা পাহাড়ের অনেক উপরে যুদ্ধ করতে চিনা বাহিনীকে সাহায্য করবে।
লাদাখ সীমান্তের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে ভারত-চিন সেনাবাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই দেশ সেনাবাহিনী স্তরে কথা বার্তা বলছে। পাশাপাশি কথা চলছে কূটনৈতিক স্তরে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশই যুদ্ধের আশঙ্কা করে সীমান্তে সেনা মোতায়েন শুরু করেছে। পাশাপাশি কড়া নজর দিচ্ছে নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডেরের দিকেও।
একটি রিপোর্ট বলছে, টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক ও পিসিএল ১৮১ দুটোই চিনের আধুনিক প্রযুক্তির অস্ত্র। গত জানুয়ারিতেই দুটি সমরযান পরীক্ষা করে দেখা হয়েছিল দক্ষিণ পশ্চিন চিন সীমান্তে তিব্ববের মালভূমিতে প্রদর্শিত হয়েছিল।
টাইপ ১৫ ট্যাঙ্ক হল বিশ্বের অত্যাধুনিক হালকা ওজনের ট্যাঙ্ক। চিনের সামরিক ম্যাগাজিন ওয়েপন জানিয়েছে এতটি ১০৫ মিলিমিটার বন্দুক ও উন্নত সেন্সারে সজ্জিত। হাই অল্টিটিউডে শত্রুর ওপর হামলা করতেই এটি ব্যবহার করা হয়।
চিনের হাতে রয়েছে জিডে সশস্ত্র ড্রোন। এটিও অনেক উঁচু এলাকায় কাজ করতে সক্ষম। ২০১৮ সালে চিনের ওয়ার শো-তে এই ড্রোন প্রদর্শিত হয় তিব্বতের মালভূমি এলাকায়।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন বিশেষভাবে ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে চিন যে সব অস্ত্র তৈরি করেছে সেগুলি দেশের অখণ্ডতা ও সার্বভৌম্যতাকে সুরক্ষিত রাখাতে যে কোনও পরিস্থিতিতেই ব্যবহার করতে পারে চিনা প্রশাসন।
চলতি বছর জানুয়ারিতে সামরিক অনুশীলনের জন্য তিব্বতে সামরিক কমান্ড অঞ্চল জুড়ে হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান, ভারী আর্টিলারি এবং বিমান বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করেছিল চিন। তিব্বলের রাজধানী লাসার খুব কাছেই এই সমরাস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছিল বলেও জানিয়েছে চিনের সংবাদ মাধ্যম।
২০১৭ সালে ডোকালাম সীমান্তে প্রায় প্রায় ৭৩ দিন একটানা অবস্থান করেছে ভারত ও চিনের সৈন্যরা। এবার একই রমক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে লাদাখ সীমান্তে। যেখানেই ইতিমধ্যেই চোখে চোখ রেখে অবস্থান করছে ভারত ও চিনের সেনা বাহিনী।