সংক্ষিপ্ত

প্রাণ বাঁচাতে এখন শেষ ভরসা ভারতে পা রাখছেন একের পর এক আফগান নেতা মন্ত্রীরা। শুক্রবার থেকেই আফগানিস্তান ছাড়ছেন তাঁরা।

শেষ আশ্রয় ভারত। তাই সেদিকেই পা বাড়িয়েছেন আফগানিস্তানের (Afghanistan) নেতারা মন্ত্রীরা (Afghan lawmakers)। কাবুলে (Kabul) এখন চলছে তালিবানি রাজ। প্রাণ বাঁচাতে এখন শেষ ভরসা ভারতে (India) পা রাখছেন একের পর এক আফগান নেতা মন্ত্রীরা। শুক্রবার থেকেই আফগানিস্তান ছাড়ছেন তাঁরা। ভারতে এসে আশ্রয় নিচ্ছেন পরিবার নিয়ে। ভারত বরাবরই আফগানিস্তান সরকারের বন্ধুমনোভাবাপন্ন দেশ। তাই দেশে চলা সাম্প্রতিক হিংসা ও অস্থিরতা থেকে বাঁচতে অগত্যা ভরসা সেই ভারত। 

আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি ও তাঁর সঙ্গীসাথীরা ইতিমধ্যেই তাজাকিস্তানে পা রেখেছেন। অন্যান্য দেশও নিজেদের সীমানা খুলে দিয়েছে আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের জন্য। তবে আফগান নেতা মন্ত্রীরা বেশি ভরসা ভরসা করছেন ভারতকেই। তাঁরা জানেন এখানে এলেই একমাত্র খাদ্য, বাসস্থান ও জীবনের নিরাপত্তা পাবেন তাঁরা। 

শুক্রবার থেকেই ভারতে আসতে শুরু করেছেন একের পর এক বড় আফগান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তার মধ্যে রয়েছেন ওয়ারদাকের সংসদ সদস্য ওয়াহিদুল্লাহ কালিমজাই, পারওয়ান থেকে এমপি আব্দুল আজিজ হাকিমি,  এমপি আব্দুল কাদির জাজাই, সিনেটর মালেম লালা গুল, প্রাক্তন এমপি এবং প্রাক্তন আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের আত্মীয় জামিল কারজাই, বাঘলানের সাংসদ শুকরিয়া এসাখাইল, সিনেটর ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মাদ খান,  প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী আবদুল হাদি আরঘান্দিওয়াল, প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট ইউনুস কানুনীর ভাই মোহাম্মদ শরীফ শরীফী, এমপি মরিয়ম সোলায়মানখাইল, আফগানিস্তানের উচ্চকক্ষের সিনিয়র উপদেষ্টা কাইস মোয়াফাক।

আফগানিস্তান এবং ভারতের মধ্যে সম্পর্ক বহু শতাব্দী ধরে দৃঢ়। তবে পাকিস্তান এবং আইএসআই-এর সঙ্গে সম্পর্কিত তালিবানরা শুধু ভারতের জন্যই নয়, সামগ্রিকভাবে দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়ার স্থিতিশীলতার জন্যও উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

আফগানিস্তানকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে ইরান, কাতার, আলবেনিয়া। একদিকে যখন আফগানিস্তানের প্রতিবেশি দেশ পাকিস্তান তালিবানদের অর্থ ও অস্ত্র সাহায্য দিচ্ছে, তখন দেশের পশ্চিম সীমান্তে ইরান আফগান নাগরিকদের জন্য নিজেদের দরজা খুলে দিয়েছে। আলবেনিয়া এবং কাতার আফগান রাজনৈতিক শরণার্থীদের থাকার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আলোচনা করছে এবং এমনকি কানাডা ২০,০০০ শরণার্থী গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

রাষ্ট্রসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারের (UNHCR) মতে, ২০২১ সালের শুরু থেকে আফগানিস্তানের সংঘাতের কারণে ৫লক্ষেরও বেশি মানুষ তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ আরও বলেছে যে জুলাই থেকে ৯ই অগাষ্ট পর্যন্ত প্রায় দেড় লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।