সংক্ষিপ্ত
মুক্তিযোদ্ধাদের চাকরি দেওয়ার বিরোধিতা করে প্রথম আন্দোলন শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে তা থিতিয়ে যায়। কিন্তু কিছুদিন পরেই শেখ হাসিনার পদত্যাগ- মাত্র একদফা দাবিতে উত্তাল হয়ে ওঠে বাংলাদেশ। শেষপর্যন্ত মসনদ ছেড়ে তড়িঘড়ি পালাতে হয় চারবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু তারপরেও বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। এখনও উত্তাল বাংলাদেশ। এবার আন্দোলন থেকে সরে বাংলাদেশে শুরু রয়েছে প্রতিশোধের রাজনীতি। সোমবার থেকে এখনও পর্যন্ত গোটা বাংলাদেশে ২০ জন আওয়ামি লিগ নেতার মৃত্যু হয়েছে। টার্গেট করা হচ্ছে হিন্দুদেরও।
ঢাকা ট্রিবিউন জানিয়েছে, গোটা বাংলাদেশ এখনও জ্বলছে। আওয়ামি লিগের নেতাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। আওয়ামি লিগের নেতাদের ব্যবসা, প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাঙচুর শুরু হয়েছে। চলছে দেদার লুঠতরাজ। ঢাকা থেকে মাত্র ১০০ কিলোমিটার দূরে কুমিল্লা শহরে আওয়ামি লিগ নেতার বাড়িতে দরজা বন্ধ করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে পরিবার চার সদস্যের। বাংলাদেশের মানবাধিকার কর্মী ও কূটনীতিকরা হিন্দু ও সংখ্যালঘুদের ওপর এজাতীয় হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বেছে বেছে হিন্দুদের মালিকানাধীন ব্যবসা ও প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন, সোমবার ও মঙ্গলবার দেশের কমপক্ষে ৯৭ স্থানে সংখ্যালঘুদের বাড়িতে ও দোকানে হামলা ও লুঠপাট চালান হয়েছে। সোমবার ১০টি হিন্দু মন্দিরে হামলা হয়েছে। বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলায় এক হিন্দু ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। খুলনায় জাবির ইন্টারন্যাশালান হোটেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হোটেলের মালির যশোহর জেলার আওয়ামি লিগের সম্পাদক।
বাংলাদেশে অন্তবর্তী সরকারের দায়িত্ব নিচ্ছেন মহম্মদ ইউনুস। তিনি দেশের মানুষের কাছে শান্তির আর্জি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার তিনি দেশে ফিরবেন। তারপরই অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব নেবেন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।