সংক্ষিপ্ত

প্লাস্টিক সার্জারির থেকে পুতিনের বোটক্স ট্রিটমেন্ট নিয়েই সবথেকে জোরালো দাবি শুনতে পাওয়া যায়। তবে যুদ্ধে আবহে এবার তা ছাড়তে হতে পারে পুতিনকে।
 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের হাত ধরে বারেবারেই খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এদিকে ৬৯ বছর বয়সী পুতিনের ফিটনেস নিয়ে বারেবারেই নানা জল্পনা শোনা গিয়েছে বিভিন্ন মহলে। এখনও পর্যন্ত পুতিনের অনেক ছবি বেরিয়েছে যাতে তার ফিটনেস স্পষ্ট দেখা যায়। পুতিন জুডো, বক্সিং, ফুটবল, হকি, ব্যাডমিন্টন এবং ঘোড়ায় চড়াও এই বার্ধক্যেও উপভোগ করেন। কিন্তু সম্প্রতি পুতিনের ফিটনেস নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করতে দেখা যায় ব্রিটেনের প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী লর্ড ওয়েনকে। যা নিয়েই বিতর্কের ঝড় ওঠে গোটা বিশ্বজুড়ে। তাঁর দাবি রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি সর্বদা ফিট তাকতে স্টেরয়েডের মতো ওষুধ নেন। পাশাপাশি তাঁর এও দাবি ছিল বর্তমানে পুতিনের মুখ পুরোপুরি বদলে গিয়েছে। ওষুধের কারণেই তা এখন ডিম্বাকৃতির মতো দেখাচ্ছে। কিছু জল্পনায় শোনা যায় পুতিনের প্লাস্টিক সার্জারি হয়েছে বা তিনি বোটক্স ইনজেকশন নিচ্ছেন।

তবে প্লাস্টিক সার্জারির থেকে পুতিনের বোটক্স ট্রিটমেন্ট নিয়েই সবথেকে জোরালো দাবি শুনতে পাওয়া যায়। তবে যুদ্ধে আবহে এবার তা ছাড়তে হতে পারে পুতিনকে। শোনা যাচ্ছে এমনটাই। এদিকে ইউক্রেনের উপর হামলার পর থেকেই রাশিয়ার উপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চাপিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলি। এমনকী চাপানো হয়েছে অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা। পাশাপাশি রাশিয়া থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে ওনেক পশ্চিমা সংস্থাই। আর তাতেই চাপ বেড়েছে মস্কোর উপর। এদিকে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এলি লিলি এবং কো, নোভারটিস এবং অ্যাবভি ইনকের মতো ফার্মা সংস্থা গত সপ্তাহে জানিয়েছে তারা ক্যান্সার এবং ডায়াবেটিসের চিকিত্সার জন্য রাশিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ সরবরাহ চালিয়ে যাবে। তবে বোটক্স সহ "অপ্রয়োজনীয়" পণ্য সরবরাহ বন্ধ এখন পুরোপুরি ভাবে বন্ধ করে দেওয়া হবে। ওয়াকিবাহল মহলের মতে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হলে চাপে পড়ে যাবেন পুতিন। পুরোপুরি ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে তাঁর বোটক্স ট্রিটংমেন্ট। 

এদিকে এই খবর সামনে আসার পরেই পুতিনকে নিয়ে ফের জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এমনকি পুতিনের বোটক্স ট্রিটমেন্ট নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায়র দেওয়ালে উঠেছে হাসির রোল। দেদার শেয়ার হয়েছে মিম ও জোকস। এদিকে এর আগে অনেকেই দাবি করেছিলেন রাশিয়ার রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন অ্যানাবলিক স্টেরয়েড গ্রহণ করেছেন বা তিনি কর্টিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করেছেন। যদিও তার সপক্ষে যথাযথ প্রমাণ কখওই পাওয়া যায়নি। 

আরও পড়ুন- বয়সকালে স্মৃতিভ্রমের কারণে জটিল ব্যাধি সারাবে এই ওষুধ, নয়া গবেষণা ঘিরে বাড়ছে আশার আলো

আরও পড়ুন- দোলে ‘রঙ রুটে’ যাদবপুর, ভাইরাল ভিডিও ঘিরে দানা বাঁধছে বিতর্ক