সংক্ষিপ্ত
এই বৃদ্ধি ভারতের ৫.২৫ লক্ষ কোটি (প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার) প্রতিরক্ষা বাজেটের তিনগুণ বেশি। রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে এমন সময়ে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন।
১৩ তম জাতীয় গণ কংগ্রেস (NPC)-এর পঞ্চম বার্ষিক অধিবেশনের উদ্বোধনী দিনে চিন চলতি অর্থবর্ষের প্রতিরক্ষা বাজেট (China defence budget) ঘোষণা করেছে। চিন ক্রমাগত প্রতিরক্ষা বাজেট (expenditure) বাড়াচ্ছে। এবার প্রতিরক্ষা বাজেট ৭.১ শতাংশ বৃদ্ধি করল চিন (defence budget sees a rise)। এর আগে গত বছর চিনে বাজেট বাড়ানো হয় ৬ দশমিক ৮ শতাংশ। চিনা সরকার ২০২২ অর্থবছরের জন্য ১৭.৫৭ লক্ষ কোটি টাকা (প্রায় ২২৯.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) প্রতিরক্ষা বাজেটের প্রস্তাব করেছে। ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেস অর্থাৎ চিনের পার্লামেন্টের বার্ষিক অধিবেশন চলাকালীন এই খসড়া বাজেট প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই বৃদ্ধি ভারতের ৫.২৫ লক্ষ কোটি (প্রায় ৭০ বিলিয়ন ডলার) প্রতিরক্ষা বাজেটের তিনগুণ বেশি। রাশিয়া যখন ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছে এমন সময়ে প্রতিরক্ষা বাজেট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চিন। এর আগে বিশ্বের অধিকাংশ দেশ, ইউক্রেনে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়ার সমালোচনা করলেও, তাদের ঘনিষ্ঠ মিত্র, মস্কোর (Mosco) নিন্দা করতে অস্বীকার করেছিল বেজিং। সঙ্কট সমাধানের জন্য আলোচনার প্রয়োজন বলেছিল বেজিং। তার আগে, গত মাসেই চিন সরকার বলেছিল, রাশিয়ার সঙ্গে তাদের কৌশলগত অংশীদারিত্বের কোনও 'সীমা নেই'। আসলে ২০১২ সালে শি জিনপিং (Xi Jinping) চিনের ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের দারুণ উন্নতি হয়েছে বেজিং-এর। মূল কারণ আমেরিকার সঙ্গে বিরোধ।
তবে, ইউক্রেনে আক্রমণের কারণে রাশিয়া অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়লে, চিন কতটা তাদের পাশে দাঁড়াবে, সেই বিষয়ে সন্দিহান আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। পুতিনকে সমর্থন দিয়ে, মার্কিন এবং ইউরোপীয় বাজার হারানোর ঝুঁকি শি জিনপিং সরকার নেবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। গত বছর রাশিয়ার সঙ্গে চিনের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৬.৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে, এর পাশাপাশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সঙ্গে চিনের বানিজ্য রয়েছে মোট ১.৬ ট্রিলিয়ন ডলারের। অর্থাৎ রুশ-চিন বাণিজ্যের পরিমাণ দশভাগের একভাগেরও কম।
২০১৪ সালে ক্রিমিয়া (Crimea) দখলের পর কারণে বাণিজ্য ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়েছিল রাশিয়া। তারপর, পুতিনের লাইফলাইন হয়ে উঠেছিল চিন। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের রুশ গ্যাস আমদানী করা শুরু করেছে চিন। তবে, বেজিং চাইলেও আরও রুশ গ্যাস ও অন্যান্য পণ্য আমদানি করে রাশিয়াকে সাহায্য করা চিনের পক্ষে সম্ভব নয়। এই বিষয়ে তাদের ক্ষমতা সীমিত।