সংক্ষিপ্ত
- চিনা গুপ্তচরদের নজর ছিল দলাই লামার ওপর
- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আধিকারিকরাও ছিলেন নজরে
- সীমান্ত নিয়ে খোঁজ খবর করছিল চিনা গুপ্তচররা
শুধু দলাই লামাই নয়। চিনের নিযুক্ত গুরপ্তচরদের নজর ছিল কেন্দ্রীয় সরকারের বেশ কয়েকজন উচ্চ পদর্থ আধিকারিকের ওপরেও। চিনা গুপ্তচর ব়্যাকেট নিয়ে চলমান তদন্তে নতুন ঘটনা সামনে এসেছে। চিনের হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির জন্য সাংবাদিক রাজীব শর্ম, চিনা মহিলা কিন শি আর তার নেপালি সহযোগী শের সিংকে মাসখানেক আগেই গ্রেফতার করা হয়েছিল। তাদের ধারাবাহিকভাবে জিজ্ঞাবাদ করে সামনে এসেছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য।
দলাই লামা
চিন নিযুক্ত গুপ্তচরদের ব়্যাডারের অধিনে ছিলেন তিব্বতী ধর্মগুরু দলাইলামা। নাম প্রকাশে অনুচ্ছিক এক সরকারি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দলাই লামার চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে তথ্য গোড়াগ করছিল চিনা মহিলা কিন সি। দলাই লামা কী জাতীয় ওষুধ খান, কারা কারা তাঁর চিকিৎসা করেন, কোন হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়- এগুলি জানতে আগ্রহী ছিলেন মহিলা।
সরকারি আধিকার
চিনা গুপ্তচরদের নজর ছিল বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রকের আধিকারিকদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করছিল তারা। শীর্ষ কর্তাদের সম্পর্কে বিষদে জানতে চাইছল। আর সেইমত একাধিক পদক্ষেপও করা হয়েছিল। ভারত ভূটান আর নেপাল সীমান্তে দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি আধিকারিকদের সম্পর্কেও তথ্য জোড়ার করা হয়েছিল।
কার্যকলাপ
২০১২ সালের শেষের দিকে শির সঙ্গে কলকাতার এক মহিলার পরিচয় করিয়ে দেয় মহাবোধী মন্দিরের এক সন্ন্যাসী। কলকাতার সেই মহিলাকে শি জানিয়েছিল সে তার ইংরাজিতে লেখা নথিগুলি তুলে দিয়ে দেবেন। কলকাতার সেই মহিলা সেগুলি ম্যান্ডারিনে অনুবাদ করে দেবেন। অনুবাদের পর সেগুলি চিনা সুরাক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল। আর সেই কারণেই শির সংস্পর্শে আসা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মী সহ একাধিক মানুষকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। খতিয়ে দেখা হচ্ছে শি-র ল্যাপটপ পেন ড্রাইভ আরও নানা গেজেট।
রাজীব শর্মা
গ্লোবাল টাইমে প্রতিবেদন লেখার সূত্রের তার সঙ্গে আলাপ করে এক চিনা ব্যক্তি। লিঙ্কডেনের মাধ্যমেই আলাপ হয়। তারপর সেই তিনা ব্যক্তি রাজীব শর্মাকে গুপ্তচর হিসেবে নিয়োগ করে। প্রশাসনিক খরব সংগ্রহ করাই মূলত কাজ ছিল রাজীব শর্মার। ২০১৬-২০১৮ সাল পর্যন্ত রাজীব শর্মা চিনা এজেন্টদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিল বলে তথ্য পাওয়া গেছে। রাজীব শর্মা ভারত-চিন সীমান্ত ইস্যু নিয়ে একাধিক ইনপুট চিনের হাতে তুলে দিয়েছে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। শি-র সঙ্গেও রাজীব শর্মীর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলেও দাবি করা হচ্ছে।