সংক্ষিপ্ত

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর ঘিরে রীতিমত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে চিন। মঙ্গলবার রাতে ন্যান্সি পেলোসে দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে তাইওয়ানে পা রাখলেন। কিন্তু সেই সময় তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয় বিমান বন্দর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর ঘিরে রীতিমত যুদ্ধের প্রস্তুতি নিয়েছে চিন। মঙ্গলবার রাতে ন্যান্সি পেলোসে দক্ষিণ চিন সাগর এড়িয়ে তাইওয়ানে পা রাখলেন। কিন্তু সেই সময় তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয় বিমান বন্দর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই ২০টিরও বেশি চিনা যুদ্ধ বিমান তাওয়ানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে। তাইপেয়ইয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন ন্যান্সি তাঁর তাইওয়ান সফর শুরু করেছেন। যা বেজিং নিজেদের অঞ্চল বলে মনে করে। দখলেরও হুমকি দিয়েছে। 

ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর ঘিরে যে চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দ্বন্দ্ব ক্রমশই বাড়ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। চিনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই ন্যান্সির এই তাইওয়ান সফর। তবে ন্যান্সি পেলোসি জানিয়েছেন তাঁর এই সফর কোনওভাবেই চিনের কাছে হুমকি হতে পারে। আমেরিকা গণতন্ত্রকে সমর্থন করে তা বোঝাতেই তাঁর তাইওয়ান সফর।  অন্যদিকে ওয়াশিংটন জানিয়েছে ন্যান্সিরে এই সফর তাইওয়ান আর আমেরিকার বন্ধুত্ব আরও সুদৃঢ় করার একটি রাস্তা। 

অন্যদিকে চিনের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে তারা উচ্চ সতর্কতায় রয়েছে। চিন প্রয়োজনে সামরিক পদক্ষেপ নিতে পিছপা হবে না। বেজিংয়ের বিদেশ মন্ত্রক ন্যান্সির এই সফরকে আমেরিকার আগুন নিয়ে খেলার সঙ্গে তুলনা করেছেন। 

অন্যদিকে চিনা হুমকির মোকাবিলা করার জন্য আমেরিকা আগে থেকেই ন্যান্সির নিরাপত্তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছে।  দক্ষিণ চিন সাগরে সক্রিয় হয়েছে আমেরিকার নৌবাহিনী ও বায়ুসেনা। মোতায়েন করা হয়েছে যুদ্ধ জাহাজ আর যুদ্ধ বিমান। মঙ্গলবার মালয়েশিয়া থেকে ন্যান্সি ও মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল রওনা দেয়। সেই সময়ই তাইওয়ানের আকাশসীমা উড়ে যায় মার্কিন যুদ্ধ বিমান। তাইওয়ানের জলসীমায় রয়েছে চারটি যুদ্ধ জাহাজও। অন্যদিকে জাপানে মোতায়েন রয়েছে ইউএসএস রোনাল্ড রেগন। এটি যুদ্ধ বিমান বহন করে।  


কয়েক দশকের মধ্যে এই প্রশম কোনও মার্কিন কর্মকর্তা এজাতীয় সফর করছেন। তিনি মার্কিন প্রশাসনের তৃতীয়-সর্বোচ্চ পদাধিকারী এবং বেইজিংয়ের বিরুদ্ধে অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। শেষবার যে মার্কিন হাউস স্পিকার তাইওয়ান সফর করেছিলেন ১৯৭৭ সালে। এর আগে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনয়িং বলেছিলেন যে চীন এই সফরের সংবেদনশীলতা সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে যোগাযোগ করছে। "মার্কিন পক্ষ দায় বহন করবে এবং চীনের সার্বভৌম নিরাপত্তা স্বার্থকে ক্ষুণ্ন করার জন্য মূল্য দিতে হবে," তিনি বলেন।
২৫ বছরের ভীতি নিকেশ, চিনের হুমকি উড়িয়ে তাইওয়ানে মার্কিনি স্পিকার পেলোসি

রহস্যের পরত খুলে মিশরে সন্ধান ৪৫০০ বছর পুরনো মন্দিরের , সূর্য মন্দিরের নিচে রয়েছে গোপন কুঠরি

রাত থেকে ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর, তার আগেই চিন-আমেরিকার ঠান্ডা লাইড়া শুরু