সংক্ষিপ্ত
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস বলেছে যে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে, এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের দেশ থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও বাণিজ্যিক বা চার্টার ফ্লাইট সন্ধান করা উচিত।
ইউক্রেন সংকট নিয়ে ন্যাটোভুক্ত দেশ (NATO countries)এবং রাশিয়ার (Russia) মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরে, ইউক্রেনে (Ukraine crisis) ভারতীয় দূতাবাসের আধিকারিকদের (Indian Embassy officials) পরিবারকে ভারতে ফিরে যেতে বলা হয়েছে। এরই সঙ্গে ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস বলেছে যে রাশিয়া হামলা চালাতে পারে, এই পরিস্থিতির মধ্যে ভারতীয় নাগরিকদের দেশ থেকে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব বেরিয়ে যাওয়ার জন্য যে কোনও বাণিজ্যিক বা চার্টার ফ্লাইট সন্ধান করা উচিত। এর আগে ইউক্রেনে ভারতীয় ছাত্রদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইউক্রেন ছেড়ে যেতে বলা হয়েছিল।
ইউক্রেনের ভারতীয় দূতাবাস টুইট করেছে যে সেদেশের পরিস্থিতি সাধারণ নাগরিকদের জন্য সঠিক ও নিরাপদ নয়। উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। তাই দূতাবাসের কর্মীদের পরিবারকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে। এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এদিন ঘোষণা করা হয়েছে, ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করার জন্য চলতি মাসে তিনটি বিমান চালাবে টাটা সংস্থা। আগামী ২২, ২৪, ২৬ ফেব্রুয়ারি বিমানগুলি চালান হবে। ইউক্রেনের বৃহত্তম বিমানবন্দর বরিসপিল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকেই বিমানগুলি পরিচালনা করা হবে। কেন্দ্রীয় সরকার বিমান চালাবে না এই ঘোষণার একদিন পরেই এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে তারাই আটকে পড়া ভারতীয়দের উদ্ধার করবে।
প্রাক্তন সোভিয়েত দেশটি প্রতিবেশী রাশিয়ার হুমকির মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে। যেকোনও সময়ই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতেও আগাম জানিয়ে দিয়েছে ভারতীয় নাগরিক বিশেষ করে পডুয়াদের ইউক্রেন ছাড়তে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আশঙ্কা যে কোনও সময় ইউক্রেনের ওপর হামলা করতে পারে মস্কো। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের ন্যাশনাল সিকিওরিটি টিম এমনই তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে, মার্কিন হুশিয়ার উপেক্ষা করেই শনিবার রাশিয়া পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যাপক মহড়া চালাল। যা নিয়ে নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পরিস্থিতি। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই স্ট্র্য়াটেজিক নিউক্লিয়ার ফোর্সের প্রয়োগ হয় এদিন। সহজ কথায় বর্তমানে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে সংঘাত তুঙ্গে। পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতারা ইতিমধ্যেই পূর্ণ সেনা মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন।
জি-৭ গ্রুপের বিদেশমন্ত্রীরা জানান ইউক্রেন সীমান্ত ধরে রাশিয়ার সামরিক কার্যকলাপ কম করা হয়েছে, এমন কোনও তথ্য প্রমাণ এখনও পর্যন্ত মেলেনি। যা বেশ উদ্বেগের বিষয়। সীমান্তের কাছে গুলি চলার পর কিয়েভ ও মস্কো একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। ইতিমধ্যে জার্মানি ও ফ্রান্স নিজেদের নাগরিকদের ফেরত যেতে অনুরোধ করেছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা সেক্রেটারি লয়েড অস্টিন বলেছেন, রুশ বাহিনী সীমান্তের কাছে যেতে শুরু করেছে। তবে অস্টিন আশা প্রকাশ করেছেন যে সংঘাতের রাস্তা থেকে হয়ত সরে আসবেন পুতিন। লিথুয়ানিয়াতে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন ইউক্রেনে হামলা চালানো কোনও সমাধানের পথ হতে পারে না।