সংক্ষিপ্ত

পৃথিবীতে এই সৌর ঝড়ের প্রভাবে শুরু হতে পারে ছোট থেকে মাঝারি আকারের ভূচৌম্বকীয় ঝড়। যা প্রভাব ফেলবে অরোরায়।

ফের সৌর ঝড়ের মুখে পৃথিবী। বৃহস্পতিবারই সূর্যের পৃষ্ঠ থেকে ছিটকে বেরিয়েছে আগুনের গোলার অংশ, যা ক্রমশ এগিয়ে আসছে এই গ্রহের দিকে। এর জেরে বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে পৃথিবী। নষ্ট হয়ে যেতে পারে গোটা পৃথিবীর বিদ্যুত ব্যবস্থার ভারসাম্য। পৃথিবীতে এই সৌর ঝড়ের প্রভাবে শুরু হতে পারে ছোট থেকে মাঝারি আকারের ভূচৌম্বকীয় ঝড়। যা প্রভাব ফেলবে অরোরায়। এর জেরে রেডিও ব্ল্যাকআউটের সমূহ সম্ভাবনা গোটা বিশ্ব জুড়ে। 

জানা গিয়েছে প্লাজমার বিশাল ঢেউ ঘণ্টায় ১৬,১৩,৫২০ কিলোমিটার বেগে পৃথিবীর দিকে আসছে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন সানস্পট AR2987 থেকে এই সৌর ঝড়ের উৎপত্তি। সেখান থেকেই প্রবল শক্তি সংগ্রহ করে আগুনের গোলা ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টারের মতে, একটি জিএস ক্লাস জিওম্যাগনেটিক ঝড়ের দিকে নিয়ে যাবে যা রেডিও ব্ল্যাকআউটের কারণ হতে পারে। 

সৌর ঝড়ের মুখে পৃথিবীর চৌম্বকমণ্ডলের চারপাশে সমস্যা তৈরি হয়। বিশাল সৌর ঝড় সর্বশেষ রেকর্ড করা হয়েছিল ১৮৫৯ সালে। এরপর ১৯২১ ও ১৯৮৯ সালেও সৌর ঝড় হয়। এতে হাইড্রো-কিউবেক পাওয়ার গ্রিড পুরোপুরি বসে যায়। ৯ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ছিল কানাডা। এই সৌর ঝড় সূর্যের বায়ুমন্ডল থেকে উদ্ভুত। পৃথিবীর চৌম্বকীয় শক্তির ক্ষেত্রের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করছে ক্রমশ। ফলে পৃথিবীর ওপর এর প্রভাব মারাত্মক ভাবে পড়বে। 

মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল অ্যারোনটিকস অ্যান্ড স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা নাসার মতে, সৌর বাতাস হল চার্জযুক্ত কণা বা প্লাজমার ঘন স্রোত, যা সূর্য থেকে বেরিয়ে এসে মহাকাশে ভেসে বেড়াতে থাকে। নাসা জানিয়েছে যে সৌর ঝড়ের ফলে উপগ্রহ সংকেত বাধাগ্রস্ত হতে পারে। সৌর ঝড়ের কারণে পৃথিবীর বাইরের বায়ুমণ্ডল উত্তপ্ত হতে পারে যা উপগ্রহের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

এই সৌর ঝড়টি তার ধরণগুলির মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী X1-শ্রেণীর সৌর শিখা হিসাবে পরিচিত। নাসার কর্মকর্তারা একে উল্লেখযোগ্য সৌর শিখা বলে অভিহিত করেছেন। এই সৌর ঝড়টি মহাকাশ সংস্থার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি থেকে রিয়েল টাইম ভিডিওতেও ধারণ করা হয়েছে। সোলার ফ্লেয়ারের সবচেয়ে শক্তিশালী শ্রেণীটি X ক্লাস নামে পরিচিত। তারপরে, শক্তির ক্রমহ্রাসমান ক্রমে, তারা M, C, B এবং A শ্রেণী হিসাবে পরিচিত।