সংক্ষিপ্ত
নাটকীয়ভাবে গদিচ্যুত হবার পর রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে এবার দেখা গেলো অন্য ইমরানকে. রবিবার ন্যাশনাল আসেম্বলির নির্বাচনে আটটি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেই জয়ী হয়েছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দল তেহেরিক-ই-ইনসাফ ( পিটিআই )
নাটকীয়ভাবে গদিচ্যুত হবার পর রাজনৈতিক লড়াইয়ের ময়দানে এবার দেখা গেলো অন্য ইমরানকে।অন্তত পাকিস্তান উপনির্বাচনের ফলাফল সেই কোথায় বলছে। রবিবার ন্যাশনাল আসেম্বলির নির্বাচনে আটটি আসনের মধ্যে ছয়টি আসনেই জয়ী হয়েছে ইমরান খানের নেতৃত্বাধীন দল তেহেরিক-ই-ইনসাফ ( পিটিআই ) . অন্যদিকে পাঞ্জাব আসেম্বলীর উপনির্বাচনেও তিনটি আসনের মধ্যে দুটোতে জয়ী হয়েছে তেহেরিক-ই-ইনসাফ। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ৮ টি আসনের মধ্যে তেহেরিক-ই -ইনসাফ মাত্র সত্যি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বাকি মুলতান এবং মালির-২ নির্বাচনী এলাকা থেকে তাদের বিতাড়িত করা হয়। ২০১৮ সালে ওই অঞ্চলগুলিতে পিটিআই কে জিততে দেখা গেলেও পরবর্তী কালে রাজনৈতিক কারণেই তাদের ওই অঞ্চল ছাড়তে একপ্রকার বাধ্য করা হয়। বিগত নির্বাচনিতেও তাদের মুলতান এবং মালির-২ অঞ্চল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনী ফলাফলে যদিও এর তেমন কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে ইমরান খানের দলের এমন অপ্রতিরোধ্য জয় এখন অস্বস্তি বাড়াচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের।
সূত্রের খবর পিটিআই মারদান, চরসাদ্দা, ফয়সালাবাদ, নানকানা সাহেব এবং পেশোয়ার জাতীয় পরিষদের ছয়টি আসন জিতেছে -এবং এই প্রতিটি আসনেই প্রতিদ্বন্দিতা
করেছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান স্বয়ং।
পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ শুধু মাত্র শেখুপুরা উপনির্বাচনে জয়ের মুখ দেখেছে। করাচি ও মুলতানের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে অবশ্য হেরেছে ইমরানের দল। এই দুই কেন্দ্রে জিতেছে পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)।
রোববার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে। তা চলে বিকেল ৫ তা পর্যন্ত। যখন গণনা প্রক্রিয়াও শুরু হয় তখন ভোটগ্রহণ সামগ্রিকভাবে মসৃণ ছিল, খাইবার পাখতুনখোয়ায় পিটিআই এবং আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি (এএনপি) কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পিটিআই অবশ্য দাবি করেছে যে বর্তমান ক্ষমসীন দলই রাচিতে এই "হামলা" করিয়েছে। কারণ প্রদেশ থেকে তাদের হয়ে কাজ করা এক পোলিং কর্মকর্তার কারচুপি ধরা পড়েছে প্রকাশ্যে। পিটিআই নেতা খুররম শের জামান অবশ্য কথিত কারচুপির পেছনে পিপিপিকে অভিযুক্ত করেছেন।
পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) বলেছে যে তারা এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ কোড লঙ্ঘনের মোট ১৫ টি অভিযোগ পেয়েছে বিভিন্ন নির্বাচনী বুথগুলি থেকে । সিনিয়র পিটিআই নেতা ফাওয়াদ চৌধুরী টুইটারে বর্তমান শরীফ-নেতৃত্বাধীন সরকারকে বলেন "জনগণের ইচ্ছাকে সম্মান করতে এবং অবিলম্বে দেশে নতুন নির্বাচন ঘোষণা করার। "আমরা সরকারের সাথে নির্বাচনী কাঠামো নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত,"
অন্যদিকে এমন নাটকীয় জয়ের পর স্লোগান দিয়ে ‘লং মার্চ’ শুরু করার কথা ঘোষণা করেন ইমরান। সারা দেশ জুড়ে অভূতপূর্ব সমর্থন ও অভিনন্দন কুড়িয়ে তিনি রাজধানী ইসলামাবাদ পৌঁছবেন। তার পর সরাসরি কথা বলবেন দেশবাসীর সঙ্গে। সেখানেই ঠিক হবে ভবিষ্যৎ রণকৌশল। সদ্যসমাপ্ত উপনির্বাচনে জয়ের পর ইমরানপন্থীরা বাড়তি অক্সিজেন পেল বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন-ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাসের গদি টলমল? অনাস্থা প্রস্তাব আনতে প্রস্তুত শতাধিক এমপি