সংক্ষিপ্ত
- ঢাকায় পুরনিগমের ভোট ঠিক হয়েছিল সরস্বতীপুজোর দিন
- তাতে করে আপত্তি ওঠে, দিন পাল্টানোর দাবি করা হয়
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা আমরণ অনশনে বসেন
- অবশেষে শনিবার নতুন দিন ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন
লাগাতার আন্দোলন আর অনশনের চাপে শেষ অবধি পিছিয়ে গেল ঢাকায় সিটি কর্পোরেশনের ভোট। শনিবার এক বৈঠকের পর নতুন দিন ঘোষণা করলেন বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নরুল হুদা। ৩০ জানুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন হচ্ছে না ভোট। তার বদলে নির্বাচনের দিন ঠিক হয়েছে ১ ফেব্রুয়ারি।
প্রসঙ্গত, আগামী ৩০ জানুয়ারি ঢাকার দুটি সিটি কর্পোরশেনর নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এদিকে ওইদিন সরস্বতীপুজো থাকায় পড়ুয়ারা নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনে নামেন। যদিও নির্বাচন কমিশন জানায়, পুজো ও নির্বাচন একসঙ্গেই চলবে, তাতে অসুবিধের কিছু নেই। তারপরেই নির্বাচন পিছনোর দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়ারা। এদিকে সরস্বতীপুজোর দিনে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন করে গত ৬ জানুয়ারি হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন বাংলাদেশের আইনজীবী অশোক কুমার ঘোষ। হাইকোর্ট সেই আবেদন খারিজ করে দেয়। পরে আপিল আদালতে আবেদন জানানো হয়।
এদিকে এই পরিস্থিতিতে নির্বাচনের দিন পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে বৃহস্পতিবার থেকে আমরণ অনশনে বসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পড়ুয়ারা। শনিবার অনশনরত পাঁচ পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। দুজনকে হাসপাতালে ভরতি করতে হয়।শনিবার আওয়ামি লিগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ধর্মীয় অনুভূতির বিষয়টি বিবেচনা করে দুই সম্প্রদায়ের সঙ্গে আলোচনা করে নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে পারে। নির্বাচনের দিন পাল্টালেও তাঁদের কোনও অসুবিধে হবে না।
এদিকে, প্রথমে সেভাবে গা না-করলেও অনশনরত পড়ুয়ারা অসুস্থ হয়ে পড়লে চিন্তায় পড়ে নির্বাচন কমিশন। শনিবার বিকেল চারটে নাগাদ সেখানকার মুখ্য় নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদার নেতৃত্বে একটি জরুরি বৈঠক হয়। ওইদিনই সন্ধেবেলায় কমিশন ঘোষণা করে, ৩০ জানুয়ারির বদলের ভোট হবে ফেব্রুয়ারি ১ তারিখে।