সংক্ষিপ্ত

কিম জং উনের ক্ষমতার ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কাস পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।

উত্তর কোরিয়া (North Korea) নতুন বছরে নাকি শুধুমাত্র অর্থনৈতিক (Economy) উন্নয়েনের দিকেই লক্ষ্য রাখবে।  তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন উত্তর কোরিয়ার সর্বাধিনায়ক কিম জং উন (Kim Jong Un)। তিনি বলেছেন চলতি বছর দেশটি জীবন ও মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করেছে। তাই জাতীয় অর্থনীতি একজায়গায় থেমে গেছে। আগামী বছর দেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই হবে মূল লক্ষ্য। 

কিম জং উনের ক্ষমতার ১০ বছর পূর্ণ হয়েছে। সেই উপলক্ষ্যে ক্ষমতাসীন দল ওয়ার্কাস পার্টির একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। বৈঠকের সমাপ্তি অনুষ্ঠানে তিনি বক্তব্য রাখছিলেন। সেখানেই তিনি বলেন করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে দেশটি লড়াই করেছে। তাঁর বক্তব্য দক্ষিণ কোরিয়া বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কোনও উল্লেখ ছিল ছিল। কারণ তিনি বলেছেন স্ব-আরোপিত অবরোধ ও করোনাভাইারসের মহামারির কারণে দেশটি খাদ্য ঘাটতির সঙ্গে লড়াই করছে। 

তিনি বলেন উন্নয়নের লক্ষ্যেই তিনি কাজ করবেন। মানুষের জীবনের মান উন্নত করারই তাঁর প্রধান কাজ। তিনি ২০২১ সালের কঠোর পরিস্থিতির কথাও স্বীকার করেনিয়েছেন নতুন বছরে। যদিও আগে তাঁকে কখনই এতটা সুর নরম করতে শোনা যায়নি। যাইহোক তিনি বলেন, মানুষের জন্য খাবার, বস্ত আর বাসস্তানের সমস্যা সমাধান করে এগিয়ে যাবে উত্তর কোরিয়া। তিনি আরও বলেন কোরিয়া উপদ্বীপে ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীল সামরিক পরিবেশের কারণে পিয়ংইয়ং তার প্রতিরক্ষা সক্ষমতাকে জোরদার করতে বাধ্য হচ্ছে। 

সম্প্রতি কিম জং উন তাঁর বাবা কিম জং ইলের ১০ম মৃত্যু বার্ষিকী পালন করেছিলেন। গোটা দেশেই জারি করা হয়েছিল কঠোর আইন। ১৭ ডিসেম্বর থেকে পালন করা হচ্ছে  কিম জং উনের বাবা কিম জং ইলের ১০তম মৃত্যু বার্ষিকী। ২০১১ সালের এই দিনে প্রায়ত হয়েছিলেন কিম জং ইল। তারপরই দেশের শাসনক্ষমতা নিজের হাতে তুলে নেন কিম জং উন।

বাবার মৃত্যুর বার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে কিম জং উন উত্তর কোরিয়ার বাসিন্দাদের ওপর বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। যার মধ্যে অন্যতম হল হাসির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা। দ্বিতীয়টি আরও ভয়ঙ্কর। আগামী ১০ দিনের জব্য দেশে পুরোপুরি বন্ধ থাকবে মুদির দোকান। কোনও রেশন সামগ্রী কেনাকাটার ওপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে আগামী ১০ দিন দেশের কোনও মানুষ ছুটি কাটাতে পারবে না। সীমান্ত শহর সিনুইজুর এক বাসিন্দা রেডিও ফ্রি এশিয়াকে এই কথা জানিয়েছেন। 

রীতিমত কড়া সতর্কতা জারি করেছে উত্তর কোরিয়া প্রশাসন। এই ১০ দিন এই নিয়মগুলি যদি কোনও মানুষ না মানে তাহলে তার জন্য কঠোর শাস্তি অপেক্ষা করে রয়েছে। এটাই প্রথম নয়, এজাতীয় নিষেধাজ্ঞা আগেও জারি করা হয়েছিল। অতীতে যারা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বা মদ্যপ অবস্থায় ধরা পড়েছিল তাদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল। তাদের গ্রেফতার করা হলেও  পরবর্তীকালে তাদের কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। 

New Year Greeting: চিন ও পাক সেনা বাহিনীর প্রতি ভারতের 'মিষ্টি' বন্ধুত্ব, নতুন বছরের শুভেচ্ছা

বিদেশি অনুদান পাবে না ৬০০০ সংস্থা, তালিকা প্রকাশ করে জানিয়ে দিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক