সংক্ষিপ্ত
পাকিস্তানের সংখ্যালঘু নেতারা জাতীয় বাজেট নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত। তাদের দাবি বরাদ্দ শূন্য হওয়ায় সংখ্যালঘু কল্যাণ বাধাপ্রাপ্ত হবে।
পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের নির্যাতনের আরও ঘটনা প্রকাশ্যে। এবার নির্যাতনের মূল দায়িত্ব নিয়ে দেশের নির্বাচিত সরকার। ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য গতবারের বাজেট বরাদ্দ ছিল ১০০ মিলিয়ন পাকিস্তানি টাকা। কিন্তু এবছর বরাদ্দ শূন্য। কিন্তু কেন সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ শূন্য করা হয়েছে তার কোনও উত্তর নেই।
পাকিস্তানের সংখ্যালঘু নেতারা জাতীয় বাজেট নিয়ে রীতিমত শঙ্কিত। তাদের দাবি বরাদ্দ শূন্য হওয়ায় সংখ্যালঘু কল্যাণ বাধাপ্রাপ্ত হবে। থমকে যাবে উন্নয়ন। পাকিস্তানে হিন্দু, শিখ আর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে পড়ে। দেশের ২৪৪ মিলিয়ন বাসিন্দার মধ্যে সংখ্যালঘু মাত্র ৫ শতাংশ। হিন্দু ও খ্রিস্টারের সংখ্য়া ১.৬ শতাংশ।
গত ১২ জুন পাকিস্তানে ফেডারেল বাজেট ২০২৪-২৫ পেশ করেন পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রী মহাম্মদ আওরঙ্গজেব। সবমিলিয়ে ১৮.৮৭ ট্রিলিয়ন পাকিস্তানি টাকার বাজেট পেশ করা হয়েছে। যেখানে হজযাত্রীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ান হয়েছে সেখানে সম্পূর্ণ ছেঁটে ফেলা হয়েছে সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ। বাজেটে ধর্ম বিষয়ক ও আন্তঃধর্ম সম্প্রীতি মন্ত্রণালয়ের জন্য ১.৮৬১ মিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যা গত বছর ছিল ১,৭৮০। এই বরাদ্দের মধ্যেই রয়েছে মক্কার হজ যাত্রীজের জন্য বরাদ্দ। প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে মোট বাজাটের ১৭ শতাংশ বরাদ্দ করা হয়েছে। ২.১২ ট্রিনিয়ন পাকিস্তানি টাকা প্রতিরক্ষার জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের জন্য বরাদ্দ কমায় সবথেকে ক্ষতিগ্রস্ত হবেন দেশের ছাত্ররা। পাঞ্জাবের মানবাধিকার ও সংখ্যালঘু বিষয়ক প্রাক্তন মন্ত্রী এজাজ আলম অগাস্টিন বলেছেন,শুরু থেকেই তহবিলের অভাব ছিল। এখন, ফেডারেল স্তরে সংখ্যালঘুদের মন্ত্রকের মতোই তহবিলটি সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে গেছে। শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের সরকারি সমর্থন দরকার। ২০০৮ সালে পাকিস্তান প্রথম সংখ্যাসঘুদের জন্য মন্ত্রক তৈরি করেছিল।