সংক্ষিপ্ত
কৃষ্ণ সাগরে আলোড়ন
ব্রিটিশ রণতরী ঢুকে পড়ল রুশ জলসীমানায়
গোলা ছুঁড়ল রুশ বোমারু জাহাজ
তারপর কী হল
কৃষ্ণ সাগরে আলোড়ন। ব্রিটিশ রণতরীকে লক্ষ্য করে গোলা ছুঁড়ল রুশ বোমারু জাহাজ। তবে এটি একটি ওয়ার্নিং শট অর্থাৎ সতর্ক করার উদ্দেশ্যে গোলাটি ছোঁড়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, কৃষ্ণসাগরে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর একটি ডেস্ট্রয়ার রণতরী, 'এইচএমএস ডিফেন্ডার' জলসীমা লঙ্ঘন করেছিল। এরপরই 'এইচএমএস ডিফেন্ডার'-এর উদ্দেশ্যে রাশিয়ার রুশ সীমান্ত টহলদারী জাহাজ এবং এস-৪৪ বোমারু বিমান ব্যবহার করে 'প্রাথমিক সতর্কবার্তা' পাঠানো হয়। এইচএমএস ডিফেন্ডারকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়, রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রীয় জলসীমানা লঙ্ঘন করা হলে অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।
রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, প্রথমে একটি সীমান্তের টহলদারী জাহাজ সতর্কতামূলক গোলা ছোঁড়া হয়। তারপরে একটি এস-৪৪ বোমারু বিমান থেকে ব্রিটিশ নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার জাহাজের পথে চারটি বোমা ফেলা হয়েছিল। এই সতর্কবার্তামূলক গোলা ছোঁড়ায় ব্রিটিশ রণতরীটি অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক দাবি করেছে, গোলা আঘাত করার পরই 'এইচএমএস ডিফেন্ডার' রুশ জলসীমা ছেড়ে চলে গিয়েছে।
ক্রিমিয়ার উপরের দিকে কেপ ফায়লেন্ট উপকূলে ব্রিটিশ-রুশ বাহিনীর সংঘাতের এই ঘটনাটি ঘটেছে। ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া দখল করে নিয়েছিল রাশিয়া। রুশ সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এই ঘটনার পরে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে ব্রিটেনের দূতাবাসের সামরিক বিষয়ক আধিকারিককে তলব করা হয়েছে।
'এইচএমএস ডিফেন্ডার' যে কৃষ্ণ সাগরে রয়েছে তা চলতি মাসের শুরুতেই জানা গিয়েছিল। এর আগে 'ব্রিটিশ রয়্যাল নেভি'র এই জাহাজ ছিল ভূমধ্যসাগরে। 'ন্যাটো' গোষ্ঠীর অভিযানে নিযুক্ত ছিল এই রণতরী। তবে জুনের শুরুতেই ব্রিটিশ নৌবাহিনীর পক্ষ থেকেই বলা হয়েছিল এখন থেকে কৃষ্ণ সাগরে 'নিজস্ব অভিযান' পরিচালনা করবে।