সংক্ষিপ্ত
ইয়ারিনা আরিয়েভা ও তাঁর সঙ্গে স্ব্যাটোস্লাভ ফুরসিন আগে মে মাসে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করে রেখেছিল। সেইসময় তাঁরা সব তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন।
রাশিয়ার হামালা যুদ্ধ বিধ্বস্ত ইউক্রেন (Russia-Ukraine War)। রাজধানী কিয়েভ (Kyiv) প্রায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। কিন্তু যুদ্ধের সাইরেন বন্ধই হচ্ছে না। তারই মধ্যে পরিণতি পেল প্রেম (Love)। সাত জন্ম একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করে বিয়ে করলেন এক তরুণ দম্পতি। কবে কী হয়ে যায়? যুদ্ধ কেড়ে নিতে পারে জীবন। এই আশঙ্কা থেকে বিয়ের ( married) দিন এগিয়ে এনে একটি মঠেই তড়িঘড়ি বিয়ে সারেন তাঁরা।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী ইয়ারিনা আরিয়েভা ও তাঁর সঙ্গে স্ব্যাটোস্লাভ ফুরসিন আগে মে মাসে বিয়ে করবেন বলে ঠিক করে রেখেছিল। সেইসময় তাঁরা সব তোড়জোড়ও শুরু করেছিলেন। রাশিয়ার ভালদাই পাহাড় থেকে নেমে আসা ডিনিপার নদীর তীবে একটি রিসর্টও ভাড়া করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু সবই ভেস্তে দেয় রুশ প্রেসিডেন্টে যুদ্ধবাজ মনোভাব। আচমকাই রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করে। বোমার আঘাতে চূর্ণহয়ে যায় দুই তরুণের স্বপ্ন।
সব পরিকল্পনা দ্রুত বদল করে আরিয়েভা ও ফুরসিন বিয়ের দিন দ্রুত এগিয়ে নিয়ে আসেছ। রুশ বাহিনীর হামলার মধ্যেই তাঁরা একটি মঠে বিয়ে করেন। কিন্তু সেই বিয়েতে কোনও আনন্দের ছবি ধরা পড়েনি। নবদম্পতির চোখমুখ ছিল উদাস। তাঁদেরও পরিবারের একটাই আশঙ্কা কী হবে তাঁদের ভবিষ্যৎ। কেমন হবে তাঁদের জীবন। সব অনিশ্চয়তার মধ্যেই নিজেদের প্রেমকে স্বীকৃতি দিলেন তরুণ দম্পতি।
২১ বছরের আরিয়েভা কিয়েভ সিটি কাউন্সিলের ডেপুটি। আর ২৪এর ফুরসিন একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। আর আগে তাঁদের একই সঙ্গে একটি বিক্ষোভে অংশ নিতে দেখা গিয়েছিল। সেটা ছিল ২০১৯। এবার তাদের দেখা গেল একটি মঠে সাদামাটা ভাবে বিয়ে সারতে।
আরিয়েভা ও ফুরসিন জানিয়েছেন সাইরেনের শব্দ আর বোমার আওয়াজ। চারদিকে ধ্বংসের ছবি। সম্পর্ণ অনিশ্চিত ভবিষ্যের মধ্যে দিয়ে হেঁটেই তারা বিয়ে করলেন। তবে বিয়ে করেই যে তাঁরা মধুচন্দ্রিমায় যাবেন তা কিন্তু নয়। দুজনেই জানিয়েছেন বিয়ের পরই তাঁরা দেশ রক্ষার তাগিদে অস্ত্র হাতে তুলে নেবেন। চলে যাবেন যুদ্ধক্ষেত্রে। দুজনের একটাই কথা, 'আমাদের দেশকে আমাদেরই রক্ষা করতে হবে।' তবে দুজনেই আশা করেন যুদ্ধ থেকে যাবে। শান্ত হবে ইউক্রেন। তখনই পূর্ণ পরিণতি পাবে তাদের ভালোবাসা।
কিয়েভের দাবি এক হাজার রুশ সেনা নিহত হয়েছে। রাশিয়া এখনও হতাহতের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেনি। তবে রাষ্ট্রসংঘ জানিয়েছে, ২৫ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। আহতের সংখ্যা ১০২।