সংক্ষিপ্ত

রুশ প্রশাসন সূত্রে খবর, রাশিয়ার সামরিক  কমান্ড ও কর্মীদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেনা মহড়ায়। একই সঙ্গে রাশিয়া পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্রগুলি কতটা নির্ভরযোগ্য তাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য একাধিক কৌশল গ্রহণ করেছে। 

রাশিয়া-উইক্রেন সংকট (Russia-Ukraine crisis) এখনও ক্রমশই বাড়ছে। রাশিয়ার একের পর এক পদক্ষেপ আরও একটা যুদ্ধের দিকে নিয়ে যাচ্ছে ইউরোপকে। ইউক্রেন সীমান্তে (Ukraine Border) রুশ সেনার (Russian Army) গতিবিধি যেমন চলছে অন্যদিকে ধীরে ধীরে সক্রিয় হচ্ছে ন্যাটো বাহিনী। এই অবস্থায় শুক্রবার উইক্রেন সীমান্ত ব্যাপক সেনা মহড়া দিয়েছে রাশিয়া। শনিবারও এই মহড়া জারি থাকবে। রাশিয়ান বাহিনী জানিয়েছে শনিবারের সেনা মহড়ার তদারকি করবেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন (V. Putin)। তবে এই বিষয়ে  রীতিমত সতর্ক করেছে ব্রিটেন। রাশিয়াকে যুদ্ধের পথে হাঁটতে নিষেধ করেছে ব্রিটিশ প্রশাসন। আগেই এই বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডন (Joe Biden)। তিনি বলেছিলেন রাশিয়া সেনা প্রত্যাহার করেনি। উল্টে ইউক্রেন সীমান্তে সেনা আরও বড়াচ্ছে। যা আরও একটি যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। 

রুশ প্রশাসন সূত্রে খবর, রাশিয়ার সামরিক  কমান্ড ও কর্মীদের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে সেনা মহড়ায়। একই সঙ্গে রাশিয়া পারমাণবিক ও প্রচলিত অস্ত্রগুলি কতটা নির্ভরযোগ্য তাও পরীক্ষা করে দেখার জন্য একাধিক কৌশল গ্রহণ করেছে। 

রাশিয়ার এই পদক্ষেপ দেখে বৃহস্পতিবারই মার্কিন প্রশাসন সতর্ক করে বলেছিল যে কোনও মুহুর্তেই রাশিয়া যুদ্ধের ডঙ্কা বাজাতে পারে। যে কোনও সময়ই উইক্রেন আক্রমণ করতে পারে মস্কো। 

ইউক্রেন সীমান্ত রাশিয়ার প্রায় ১৫০০ লক্ষের বেশি সেনা রয়েছে। যার মধ্যে ৬০ শতাংশই স্থলবাহিনীর সদস্য। যদিও এতকিছুর পরই ক্রেমলিন জোর দিয়ে বলেছে তাদের আক্রমণ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। একই সঙ্গে রাশিয়ার ঘোষণা করেছে, ইউক্রেন ও প্রাক সোভিতেয় দেশগুলির সঙ্গে ন্যাটো যদি কোনও রকম সম্পর্ক তৈরি না করে, ন্যাটো যদি বাহিনী প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে রাশিয়াও সেনা সরিয়ে নেবে ইউক্রেন সীমান্ত থেকে। ইউক্রেনের ওপর কোনও রকম হামলা চালাবে না বলেও জানিয়েছে রাশিয়া। কিন্তু ওয়াশিংটল ও মিত্র বাহিনী রাশিয়ার হুশিয়ারিতে এখনও পর্যন্ত কান দেয়নি। তবে রাশিয়া প্রতিবছরই পারমাণবিক শক্তিপরীক্ষার জন্য একটি বড় মহড়া চালায়। শনিবার তারই সূত্র ধরে রাশিয়া মহড়া চালাবে। 

রাশিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার সেনা মোতায়েন থাকায় দুই দেশের মধ্যে ইতিমধ্যেই স্নায়ুযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। তারই মধ্যে রুশ প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বেপারমাণবিক অস্ত্রের মহড়া  গোটা বিষয়টিকেই অন্য মাত্রা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার মহড়াতেও ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা যেতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

গোটা পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবারই বাইডেন ইউরোপীয় দেশ ও ন্যাটোর সদস্যভুক্তদেশগুলির সঙ্গে আলোচনা করেছেন। অন্যদিকে ব্লিঙ্কেন রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের কূটনীতিকদের দ্বারস্থ হয়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে নালিশ জানিয়ে তিনি বলেছেন রাশিয়াকে যেন কোনও রকম ছাড় দেওয়া না হয়। ড্রোন হামলা ও রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার নিয়েও তিনি সতর্ক করেছেন। বলেছেন ৩ মিলিয়ন মানুষের বাস ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে। সেখানে রাশিয়ান সৈন্যের গতিবিধির কথাও তুলে  ধরেছেন।  একই সঙ্গে সাইবার আক্রামণের কথা উল্লেখ করেছেন। বলেছেন রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা হামলা চালাতে পারে যে কোনও মুহুর্তে।