সংক্ষিপ্ত
মারিউপোলের ডেপুটি মেয়র সের্হি অরলভ জানিয়েছেন রাশিয়া দক্ষিণ বন্দর শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে একটি শিশু ও প্রসূতি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনি রুশ সেনাদের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের (russia ukraine war) ১৫তম দিনে (15 Days) আরও আগ্রাসী ভূমিকা গ্রহণ করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ( Vladimir Putin)। রুশ বিমান হানায় গুঁড়িয়ে দেওয়া ইউক্রেনের বন্দর শহর মারিউপোলের (mariupol) একটি শিশু হাসপাতাল। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির জেলেনস্কি (Volodymyr zelensky) বলেছেন, মারাউপোলের একটি হাসপাতালে রাশিয়ার বিমান হামলার পর শিশুরা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে জেলেনস্কি আরও বলেছেন, ধ্বংসাবশেষের নিচে প্রচুর মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে। একই সঙ্গে তিনি রুশ বিমান হামলা বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছেন। বলেছেন অবিলম্বে বিমান হানা ও হত্যা বন্ধ করুন। উদ্ধারকাজ করতে সাহায্য করুন।
মারিউপোলের ডেপুটি মেয়র সের্হি অরলভ জানিয়েছেন রাশিয়া দক্ষিণ বন্দর শহর অবরুদ্ধ করে রেখেছে। সেখানে একটি শিশু ও প্রসূতি হাসপাতালে বিমান হামলা চালিয়েছে। তিনি রুশ সেনাদের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বলেছেন আধুনিক এই সয়ম শিশু হাসপাতালে কী করে বোমা ফেলা হল তা তিনি বুঝতে পারছেন না। তিনি আরও বলেছেন মারিউপোলে হাসপাতাল থেকে যারা প্রাণ হাতে করে বেরিয়ে এসেছে তারা এখনও রুশদের এই অমানবিক কাজ দেখে ভেঙে পডেছে। এখনও তারা বিশ্বাস করতে পারছে না একটি শিশু হাসপাতালে বোমা ফেলা হয়েছে বলে।
রাশিয়া-ইউক্রেন দুটি দেশই ১২ ঘণ্টার জন্য ছটি শহরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছে। সেই ছটি শহের মধ্যে একটি ছিল মারিউপোস। সেখানে অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চলছিল। স্থানীয় বাসিন্দারা শহর ছেড়ে বেরিয়ে আসছিল। কিন্তু তারই মধ্যে রুশ সেনার বিমান হানা চালায়। মারিউপোল শহরটি যুদ্ধে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কৌশলগতভাবে রাশিয়ার কাছে এই শহরটি দখল করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইউক্রেনই শহরটির দখল রাখতে মরিয়া চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের সাংসদ দিমিত্রা গুরিন মারিউপোল গাসরাতাল রুশ হামলার ভিডিও পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন হাসপাতালে যে নবজাতকরা রয়েছে তাদের সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে ইউক্রেন প্রশাসন উদ্ধারকাজ শুরু করেছে। একটি অংশ থেকে আটকে পড়াদের উদ্ধার করা হচ্ছে।
তবে এই ভয়ঙ্কর হামলা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য দেয়নি রাশিয়া। হামলার নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি রুশ সেনাবাহিনী। অন্যদিকে যুদ্ধের এই সময় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা ক্রমশই শক্তিশালী হচ্ছে। আমেরিকা ও ইউরোপ একের পর নিষেধাজ্ঞা জারি করে রুশ অর্থনীতি ধাক্কা দিতে চাইছে। কিন্তু তারপরেও রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন আদম্য মনোভাব নিয়ে ইউক্রেনের ধ্বংসলীলা চালিয়ে যাচ্ছেন।