সংক্ষিপ্ত
স্টেট সার্ভিস অফ স্পেশাল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রোটেকশন জানিয়েছে এই বিস্ফোরণের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের তাদের বাড়ির জানালা স্যাঁতসেঁতে কাপড় বা গজ দিয়ে ঢেকে রাখার এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দিয়েছে।
রাশিয়ার (Russia) হামলায় কার্যত জ্বলছে ইউক্রেন (Ukraine)। রবিবার সকালে রাশিয়ান বাহিনী (Russian forces) দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভে (Kharkiv) একটি গ্যাস পাইপলাইন (gas pipeline) উড়িয়ে দিয়েছে। রবিবার ভোরে কিয়েভের দক্ষিণ আকাশ বিশাল বিস্ফোরণে আলোকিত হয়। প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির কার্যালয়ের তরফে বলা হয় যে একটি বিস্ফোরণ ঝুলিয়ানি বিমানবন্দরের কাছে ঘটেছে। রাজধানী থেকে প্রায় ২৫ মাইল দক্ষিণে ভাসিলকিভের মেয়র বলেছেন, সেখানে একটি তেল ডিপোতে আঘাত করা হয়েছে।
এর পালটা ইউক্রেনীয় বাহিনী রাজধানী কিয়েভে আরও শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলছে। স্টেট সার্ভিস অফ স্পেশাল কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন প্রোটেকশন জানিয়েছে এই বিস্ফোরণের ফলে পরিবেশগত বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দাদের তাদের বাড়ির জানালা স্যাঁতসেঁতে কাপড় বা গজ দিয়ে ঢেকে রাখার এবং প্রচুর পরিমাণে জল পান করার পরামর্শ দিয়েছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ প্রসিকিউটর, ইরিনা ভেনেডিক্টোভা বলেছেন, রুশ বাহিনী খারকিভকে এখন দখলে নিতে পারেনি। ১.৫ মিলিয়ন মানুষের শহরটি রাশিয়ান সীমান্ত থেকে ২৫ মাইল দূরে অবস্থিত। কিয়েভে, আতঙ্কিত পুরুষ, মহিলা এবং শিশুরা ভিতরে এবং ভূগর্ভস্থ নিরাপত্তা চায় সরকারের কাছ থেকে। মানুষকে রাস্তা থেকে দূরে রাখতে ৩৯ ঘন্টার কারফিউ বজায় রেখেছে। পরিসংখ্যান লছে দেড় লক্ষেরও বেশি ইউক্রেনীয় পোল্যান্ড, মলদোভা এবং অন্যান্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে পালিয়ে গেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সতর্কতা যে যুদ্ধ বাড়লে এই সংখ্যা চার মিলিয়ন পর্যন্ত বাড়তে পারে।
এর আগেই জানা গিয়েছিল রুশ সেনা বাহিনীর খারকিভ শহর দখল করতে মরিয়া। তবে তার জন্য যে খুব বেশ কসরত করতে হবে তা নয়। কারণ মস্কো ইউক্রেনের একাধিক শহরের বাইরে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া গাড়ি মোতায়েন করেছে। তেমনই দাবি করেছে ইনস্টিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব ওয়ার তাদের প্রতিবেদনে। ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া সামরিক অভিযান শুরু করেছিল। কিন্তু এর পিছনে দীর্ঘ দিনের পরিকল্পনা ছিল রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। মনে করা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট পদ্ধতি নিয়েই তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন ইউক্রেনের দিকে। রাশিয়ার প্রথম দফার টার্গেট পূর্ব ইউক্রেন।
২৫ ফেব্রুয়ারি রুশ বাহিনী ডিনিপ্রোর পশ্চিমতীরে কিয়েভের উপকণ্ঠে প্রবেশ করেছিল। রাশিয়ার মদতে পুষ্ঠ বিচ্ছিন্নতাবাদীরাও তাদের সঙ্গে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে রুশ বাহিনী পুরোপুরিভাবে এখনও পর্যন্ত কিয়েভ শহরে প্রবেশ করতে পারেনি। ইউক্রেনীয় বাহিনী সফলভাবে রুশ সেনাদের প্রতিহত করছে। রুশ সেনার গতি কিছুটা হলেও কমিয়ে দিতে পেরেছে।