সংক্ষিপ্ত
সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে ওখানকার মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদে যেকটি প্রতিবাদী মহিলা কণ্ঠ গর্জে উঠেছিল , সম্পূর্ণ পরিবারের সঙ্গে তাদের আটক করা হয় সোমবার।
আফগানিস্তানে তালিবান শাসন কায়েম হবার পরই ভোল বদলে যায় গোটা দেশটার। সম্প্রতি হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এর এক প্রতিবেদনে প্রকাশ পেয়েছে যে ওখানকার মহিলাদের উপর অকথ্য অত্যাচারের প্রতিবাদে যেকটি প্রতিবাদী মহিলা কণ্ঠ গর্জে উঠেছিল , সম্পূর্ণ পরিবারের সঙ্গে তাদের আটক করা হয় সোমবার । শুধু এতেই থেমে থাকেননি তালিবানরা , পাশাপাশি তাদের উপর চালাচ্ছেন হুমকি ,মারধর, দুর্ব্যবহার । এমনকি মুক্তির জন্য দেওয়া হচ্ছে আপত্তিজনক শর্ত। এইচআরডব্লিউ-সূত্রে খবর তালিবানরা আটকে থাকা ওই পরিবারের ৮ জন পুরুষকে এখন নিয়মিত দিচ্ছেন বৈদ্যুতিক শক। অত্যাচারের এই নজির প্রকাশ্যে আসতেই আবার সমালোচনার ঝড় উঠলো আন্তর্জাতিক মহলে।
নারী প্রতিবাদী কণ্ঠগুলি রোধ করতেই এমন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তালিবানরা। এইভাবে তারা নীরব করে দিতে চাইছেন হাজার হাজার প্রতিবাদী কণ্ঠ। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর সহযোগী নারী অধিকারিক তথা সংস্থাটির পরিচালক হিদার বার বলেছেন, "তালিবানদের নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা এই আফগান নারীদের অবিশ্বাস্য সাহসিকতার ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। এই গল্পগুলিই প্রমান করে যে তালিবানদের ক্ষমতা আদতে কতটা ঠুনকো। এই অসহায় নারীদের কণ্ঠ রোধ করতে তাই তাদের নির্মম প্রচেষ্টা চালাতে হচ্ছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাবুলের একটি সেফ হাউসে, একক অভিযানের সময় তালেবানরা নির্বিচারে তিনজন নারীকে গ্রেপ্তার করে।সাম্প্রতিক এই ঘটনাটি যেন সেদিনের সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি।তালিবানদের সাফ বক্তব্য যে নারীদের অধিকার চাওয়া নিষেধ।এবং শুধু তাই নয় নারীদের গর্জে ওঠাও একপ্রকার অন্যায় । তাই যারা সেদিন অধিকার চেয়ে বিক্ষোভ করেছিল তাদের উপর প্রতিশোধ নিতেই তালিবানরা নিয়েছে এই চরম পদক্ষেপ। বিগত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই আন্দোলনকারীদের উপর চলছে এই জুলুমবাজি । এমনকি তালিবানরা সদর্পে ঘোষণাও করে যে এই চরম অত্যাচারের পর , ছাড়া পেয়ে, এই পরিবারগুলি যাতে চিরদিনের মতো দেশ ছাড়ে ,তার পাকাপাকি ব্যবস্থাই এখন করছেন তারা।
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য ২০২১ সালের ১৫ই অগাস্ট আফগানিস্তানের মসনদ দখল করে তালিবান। আফগান শাসনের প্রথম পর্বে নারী স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেবার উপর বিশেষ নজরদারি দেওয়া হলেও। পরবর্তীকালে দেখা যায় তার ঠিক উল্টো চিত্র। আফগান শাসন জারি হওয়ার প্রথম সপ্তাহেই নারীরা রাস্তায় নামে প্রতিবাদে। যদিও ঝুঁকি ছিল প্রচুর তাও কোনোভাবে দোমে যাননি তারা। সেপ্টেম্বরের প্রথম দিকে, পশ্চিম আফগানিস্তানের হেরাত প্রদেশে নারীদের নেতৃত্বে প্রথম বিক্ষোভ শুরু হয় বড়ো আকারে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই বিক্ষোভের জের ছড়িয়ে পরে একাধিক প্রদেশে।
এইচআরডব্লিউ জানান যে তালেবানদের প্রতিক্রিয়া শুরু থেকেই প্রচন্ড নৃশংস ছিল. বিক্ষোভকারীদের মারধর করা, বাধা দেওয়া তো ছিলই এমনকি বিক্ষোভ কভার করতে আসা সাংবাদিকদেরও আটক করে তাদের উপর চলে নির্যাতন। পরবর্তীকালে তালিবানদের দ্বারা অনুমোদিত বিক্ষোভও নিষিদ্ধ ছিল দেশে। এমন কঠিন রাজতন্ত্রে বিশ্বাসী তালিবানরা এইভাবে কতদিন পারবে তাদের আধিপত্য কায়েম রাখতে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দিহান বুদ্ধিজীবীরা।
ব্রিটেনের মসনদে কি বসবেন ঋষি ?কি হতে চলেছে ব্রিটেনের আসন্ন নির্বাচনীতে ? ব্রিটিশ ভোটের সাত -সতেরো
বরিস জনসনের সরে যাওয়া কি ঋষি সুনাকের প্রধানমন্ত্রীর পথ প্রশস্ত করলো ? ব্রিটিশ রাজনীতিতে নয়া মোড়