সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানের দুই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতিকে দেখা গেল দুই ভূমিকায়। ঘানির বিরুদ্ধে ইন্টারপোলে অভিযোগ আফগানিস্তানের। কারজাই কথা বলেন হাক্কানি প্রধানের সঙ্গে।
এক প্রাক্তন আফগান রাষ্ট্রপতি যখন তালিবান নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন অন্য প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি করল তালিবানরা। সূত্রের খবর তাজিকিস্তানে আফগানিস্তানের দূতাবাস ইন্টারপোল পুলিশের কাছে আশরাফ ঘানিকে গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে। তাঁর আর তাঁর তিন সহযোগী জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট হামদুল্লাহ মহিব, ঘানির প্রাক্তন নিরাপত্তা উপদেষ্টা ফজেল মহম্মদকেই গ্রেফতার করার দাবি জানিয়েছে। তিন জনের বিরুদ্ধেই আফগান সরকারের কোষাগারে চুরি করার অভিযোগ আনা হয়েছে। আফগানিস্তানের দূতাবাসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ঘানির উচিৎ অবিলম্বে আফগানিস্তানের সাধারণ নাগরিকদের সম্পদ একটি ট্রাইব্যুনালের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া।
তালিবানরা কাবুল দখলের পরেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত আফগানিস্তান থেকে পালিয়ে যান প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। তাজিকিস্তান সরকার তাঁকে আশ্রয় দিতে রাজি হয়নি। তাই তিনি ওমান চলে যান। সূত্রের খবর সেখান থেকে আমেরিকায় যাওয়ার চেষ্টা করছেন আশরাফ ঘানি। তবে এখনও পর্যন্ত মধ্য প্রাচ্যের বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম দাবি করছে তাজিকিস্তান বা উজবেকিস্তানে রয়েছে ঘানি। কিন্তু এখনও পর্যন্ত ঘানি কোথায় রয়েছেন তা খুবই অস্পষ্ট।
কাবুলের রুশ দূতাবাস জানিয়েছে দেশ ছেড়ে যাওয়ার আগে ঘানি চারটি গাড়ি আর একটি হেলিকপ্টারে বোঝাই করে টাকা নিয়ে গেছেন। তালিবানদের হাতে যখন আফগানিস্তানের মানুষ নিরাপত্তার অভাব বোধ করছেন, তখন ঘানি দেশ ছেড়ে পালানো গোটা বিশ্বের তীব্র প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছিল। যদিও শেষ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ঘানি আফগান জনতার উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, সশস্ত্র তালিবানরা যখন রাষ্ট্রপতির ভবনে প্রবেশ করেছিল তখন প্রিয় দেশ ছেড়ে চলে যাওয়া রীতিমত কঠিন ছিল। গত ২০ বছর তিনি নিজের জীবন দেশের জন্য উৎসর্গ করেছেন বলেও জানিয়েছেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে মৃত্যুপুরী হাইতি, ভূমিকম্পের রেশ কাটার আগেই সামনে নতুন বিপদ
ঘানির এই পিছু হাঠার পরে অবশ্য আসরে নেমেছেন আরও এক প্রাক্তন আফগান রাষ্ট্রপতি হামিদ কারজাই। তালিবান কমান্ডার তথা হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান আনাস হাক্কানির সঙ্গে বুধবার তিনি বৈঠক করেন। কারজাইয়ের সঙ্গে আগের সরকারের শান্তিদূত আব্দুল্লাহ আব্দুল্লাহ ছিলেন। তবে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে তা এখনও কোনও পক্ষই জানায়নি। হাক্কানি নেটওয়ার আফগানিস্তানসহ বিশ্বের একাধিক দেশে বেশ কয়েকটি ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের সীমান্ত আর মদতের ওপর ভিত্তি করেই হাক্কানি নেটওয়ার্কের কাজকর্ম চলে বলেও অভিযোগ রয়েছে।