সংক্ষিপ্ত
সাংস্কৃতিক গণহত্যার অভিযোগ উঠল চিনের বিরুদ্ধে
তিব্বতিদের মনুষের ন্যুনতম মর্যাদাটুকুও দেয় না জিনপিং প্রশাসন
এমনই দাবি করলেন চিনের নির্বাসিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী
এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে বিশেষ অধিবেশনের আহ্বান জানালেন তিনি
চিন শুধু তিব্বত দখলই করেনি, সেখানে তারা 'সাংস্কৃতিক গণহত্যা' চালিয়েছে। রবিবার এই অভিযোগ করে রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার কমিশন বা ইউএনএইচআরসি-কে তিব্বত ও অন্যান্য অঞ্চলে চিনের 'মানবাধিকার লঙ্ঘন' নিয়ে একটি বিশেষ অধিবেশন করার আহ্বান জানালো সেন্ট্রাল টিবেট অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা তিব্বতের নির্বাসিত সরকার।
এদিন ধর্মশালা থেকে "সিটিএর সভাপতি লোবসাং সাংগে ইউএনএইচআরসি এবং তার সদস্য দেশগুলির কাছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে চিনের মূল্যায়নের অনুরোধ করেছেন। সেই সঙ্গে তিনি রাষ্ট্র সংঘের কাছে, প্রতিবছর চিন প্রজাতন্ত্রের অধীনে থাকা তিব্বত ও অন্যান্য অঞ্চলে মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণ করে প্রতিবেদন তৈরির দাবি জানিয়েছেন। নির্বাসিত তিব্বত সরকারের প্রধানমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, চিনের মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের বিশেষজ্ঞরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, তাকে 'তিব্বতের ভিতরে ও বাইরে থাকা, দুদিকের তিব্বতিরাই দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে'।
লোবসাং সাংগে
সাংগে আরও বলেছেন, গত ছয় দশকেরও বেশি সময় ধরে তিব্বতিরা চিন সরকারের স্বৈরাচারী শাসনের দুর্ভোগ ভোগ করছে। তাঁর অভিযোগ ইউনিভার্সাল ডেক্লেরেশন অব হিউম্যান রাইটস অনুযায়ী যে যে মৌলিক মানবাধিকার থাকা উচিত, চিনারা তিব্বতীদের থেকে তা সব কেড়ে নিয়েছে। তিব্বতিদের স্বতন্ত্র পরিচয় কেড়ে নিয়েছে। তিব্বতিদের মানুষের মর্যাদাটুকুও দেওয়া হয় না।
তিব্বতিদের উপর নির্যাতন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাদের নিখোঁজ করা, মঠের পর মঠ ধ্বংস - এইরকম সব মানবতাবিরোধী অপরাধের মধ্য দিয়ে চিন 'সাংস্কৃতিক গণহত্যা' চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সাংগে। ২০০৯ সাল থেকে চিনের উচ্চ প্রযুক্তির নজরদারির মাধ্যমে নির্যাতন ও দমনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ হিসাবে পর্যায়ক্রমে ১৫৪ জন তিব্বতি আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তিনি।
;চিনা অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন এক তিব্বতি মহিলা
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কর্মীরা বারবার উইঘুর মুসলিম ও তিব্বতিদের উপর চিন সরকারের নির্যাতন নিয়ে অভিযোগ করেছেন। চিনের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ করেছেন। এবার তিব্বতের নির্বাসিত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি ওঠার পর রাষ্ট্রসংঘ সত্যি সত্যি মানবাধিকার বিষয়ে চিনের মূল্যায়নের জন্য বিশেষ অধিবেশন বসায় কিনা, সেটাই দেখার।