সংক্ষিপ্ত
২৪ ঘন্টারও কম সময়ে, কয়েক ডজন টার্গেট বানিয়ে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় লুহানস্ক, সামি, খারকিভ, ছেরনিহিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চলছে।
রাশিয়া (Russia) তিনটি প্রধান দিক থেকে ইউক্রেনে বড় আক্রমণ (Ukraine invasion) শুরু করেছে। শেষ পাওয়া খবরে বলা হয়েছে, রাশিয়ান সেনা (Russian Soldiers) উত্তর দিক থেকে কিয়েভের (Kyiv) দিকে অগ্রসর হচ্ছে; পূর্ব থেকে ডোনেটস্ক, লুহানস্ক এবং খারকিভের মধ্য দিয়ে এগোচ্ছে ও দক্ষিণে ক্রিমিয়া থেকে শহর দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে, কয়েক ডজন টার্গেট বানিয়ে, তা ভেঙে ফেলা হয়েছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলীয় লুহানস্ক, সামি, খারকিভ, ছেরনিহিভ এবং ঝিতোমির অঞ্চলে হামলা চলছে।
আকাশ থেকে আক্রমণ
আনুমানিক বেলা তিনটে নাগাদ ইউক্রেনের বিমান প্রতিরক্ষা এবং অন্যান্য সামরিক ঘাঁটিতে আক্রমণ চলে একাধিকবার। সারা দেশের অনেক শহরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বৃহস্পতিবার দিনভর। বিশ্লেষকরা বলছেন যে আকাশ থেকে হামলার উদ্দেশ্য স্থল সেনাদের ইউক্রেনে প্রবেশের পথ পরিষ্কার করা। আকাশপথে বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল কিইভ, কারখিভ, ওডেসা এবং ইভানো-ফ্রাঙ্কিভস্ক।
উত্তর দিক থেকে স্ট্রাইক
উত্তর থেকে, রাশিয়ান সৈন্যরা ইউক্রেন, রাশিয়া এবং বেলারুশের মধ্যে সেনকিভকাতে ত্রিমুখী সংযোগস্থলে সীমান্ত অতিক্রম করে ইউক্রেনে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর নেভাল অ্যানালাইসিসের মাইকেল কফম্যানের মতে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে, ৪১ তম সেনাবাহিনী সহ নোভে ইয়ুরকোভিচি এবং ট্রোবোর্টনোর কাছাকাছি রাশিয়ান সৈন্যদের একটি বিশাল মোতায়েন জড়ো হয়েছে।
ট্যাংক এবং একাধিক লঞ্চ রকেট সিস্টেম সহ সাঁজোয়া কলামগুলি কিয়েভের সরাসরি পথে চেরনিহিভের দিকে চলে গেছে। মানচিত্রের উত্তর থেকে আক্রমণ শানানো হচ্ছে।
ইউক্রেনীয় বাহিনী শহরের পশ্চিমে আন্তোনভ বিমানঘাঁটি পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করার কারণে রাজধানীর উপকণ্ঠেও যুদ্ধ হয়েছে।
রাশিয়ান বিমানবাহী সৈন্যরা গোস্টোমেল এয়ারফিল্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিল, কিন্তু ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে তাদের ঘিরে ফেলা হবে। এদিকে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা কিয়েভের পূর্বের ব্রোভারি শহরেও আঘাত হানে। রাশিয়ান বাহিনী চেরনোবিলের পারমাণবিক কেন্দ্র দখল করেছে বলে জানা গেছে।
পূর্ব দিক থেকে আঘাত
পূর্ব থেকে, ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারখিভে রাশিয়ান ট্যাঙ্ক এসেছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরের একাংশে গোলাগুলি চলেছে। রাতারাতি, ডোনেটস্কে বড় বিস্ফোরণ হয়েছে এবং সীমান্তের ওপারে বেলগোরোডের দিক থেকে ওই একই রকমের বিস্ফোরণ হয়েছে বলে খবর। বুধবার থেকেই এই এলাকায় রাশিয়ান সেনা মোতায়েন করে দেওয়া হয়েছে।
দমকলকর্মীরা চুগুইভের একটি বিল্ডিংয়ে কাজ চালাচ্ছেন, এরই মধ্যে, রাশিয়ার ইন্টারফ্যাক্স সংবাদ সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদীরা দাবি করেছে যে তারা লুহানস্কের ইউক্রেনীয় শহর শচাস্টিয়াতে আক্রমণ শুরু করেছে। এছাড়াও
খারকিভের কাছে সুমির আশেপাশেও গুলিগোলার আওয়াজ মিলেছে। ডোনেটস্ক এবং লুহানস্কে প্রায় পনেরো হাজার রুশ-সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে, যারা রাশিয়ার সেনা অভিয়ানে প্রচ্ছন্ন মদত দিচ্ছে।
দক্ষিণ দিক থেকে স্ট্রাইক
দক্ষিণে, রাশিয়ান সেনা ক্রিমিয়া থেকে মূল ভূখণ্ডে, খেরসনের দিকে, চোঙ্গার এবং নোভো আলেকসেয়েভকাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিয়েছে। রাতারাতি, ওডেসা, মারিউপোল, মেলিটপোল এবং খেরসন সহ অঞ্চলের শহরগুলিতে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
ইউক্রেনের প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রাশিয়ান সেনা ওডেসা এবং মারিউপোল বন্দরে অবতরণ করেছে। রাশিয়া কৃষ্ণ সাগর এবং আজভ সাগরে একটি বড় সেনা সাঁজোয়া নিয়ে ইউক্রেনের উপকূলে, প্রধান যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং কর্মীদের মোতায়েন করতে সক্ষম জাহাজগুলিকে সাজিয়ে রেখেছে। ইউক্রেনীয় বাহিনী ইউক্রেনের পূর্বে দোনেস্ক এবং লুহানস্কের দিকে জড়ো হয়েছে।