সংক্ষিপ্ত

  • বাতাসে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস
  • নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করছে ভাইরাস
  • করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ
  • ইউএস সিডিসি বিশেষ কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করেছে 

নয়া চাঞ্চল্যকর তথ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ নিয়ে গবেষণায়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরা জানাচ্ছেন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। বাতাসে ছড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস, যার ফলে নিঃশ্বাসের সাথে শরীরে প্রবেশ করছে ভাইরাস। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে এই পদ্ধতির মাধ্যমেই আক্রান্ত হচ্ছেন লক্ষ লক্ষ মানুষ। ইউনাইটেড স্টেটস সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন বা ইউ এস সিডিসি এজন্য বিশেষ কিছু গাইডলাইন প্রকাশ করেছে। 

সাতই মে এই সংক্রান্ত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিডিসি। জানিয়েছে কিছু নিয়ম পালন করলে এই ধরণের সংক্রমণ রোধ করা যায়। কারণ এখন এয়ার বোর্ণ তৈরি হয়েছে। অর্থাৎ বাতাসে ঘুরে বেড়াচ্ছে করোনা ভাইরাস। নিঃশ্বাসের সঙ্গে তা প্রবেশ করছে শরীরে। তাই সামাজিক বা শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে চলা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কারণ আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে ড্রপলেট ছড়াচ্ছে বাতাসে। যা অন্য ব্যক্তির নিঃশ্বাসের মাধ্যমে ঢুকছে শরীরে। 

সিডিসি জানাচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তির থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ দূরত্ব বজায় রাখলে, এই সংক্রমণের ঝুঁকি কমতে পারে। সেক্ষেত্রে কমপক্ষে ছয় ফুটের দূরত্ব রাখা প্রয়োজন। তাই ভিড় জায়গায় একদমই যাওয়া উচিত নয়। কারণ সেখানে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়।  এমনকী ঘরের মধ্যেও থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। আক্রান্ত ব্যক্তি ঘরের মধ্যে হাঁচি বা কাশি দিলে ঘরের বদ্ধ বাতাসে সর্বনিম্ন ১৫ মিনিট ও সর্বোচ্চ ১ঘন্টা ঘুরে বেড়াতে পারে ভাইরাস। 

গবেণায় প্রকাশ, আক্রান্ত ব্যক্তি পাশ দিয়ে চলে গেলে, তার নিঃশ্বাসের মাধ্যমেও বাতাসে ভেসে বেড়াতে পারে ভাইরাস। তাই মাস্ক সঠিকভাবে পরা অত্যন্ত জরুরি। সিডিসি জানাচ্ছে বদ্ধ জায়গায় ভাইরাসের উপস্থিতির ঝুঁকি বেশি। তাই খোলামেলা ঘর প্রয়োজন। হাঁচি বা কাশির মাধ্যমে যে ড্রপলেটস ছড়াচ্ছে, তাতে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। ফলে আক্রান্ত ব্যক্তি ঘরে থাকলে, মাস্ক পরে থাকা জরুরি। 

এদিকে, পর পর চার দিন চার লক্ষের মাত্রা ছাড়ালো করোনা সংক্রমণ। ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ ভাইরাস। যা সামাল দিতে মরিয়া দেশের বিভিন্ন মহল। বাইরে থেকে সাহায্যও মিলছে, তবে কোথাও গিয়ে যেন সংক্রমণের হার কোনও মতেই বাগে আনা সম্ভবপর হচ্ছে না। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শনিবার দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩ হাজার  ৭৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৯২ জনের।

মিলছে না বেড, পরিষেবা, চিকিৎসার অভাবে প্রাণ হারাচ্ছেন বহু মানুষ। দেশের এই ভয়ানক ছবি বর্তমানে সর্বত্র উঠে আসতে দেখা যাচ্ছে। এই মুহূর্তে দেশে মোট সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৩৬ হাজার ৬৪৮ জন। ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ২২ লক্ষ ৯৬ হাজার ৪১৪ জন। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন তৎপর করোনা সামাল দিতে। যদিও এখনও পর্যন্ত করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৬২ সহ নাগরিক।