সংক্ষিপ্ত
- ঘন্টায় ৮০০ জন মানুষ ক্যান্সারের শিকার হচ্ছে বায়ু দূষণের প্রভাবে
- সচেতনতা বাড়ানো একান্ত প্রয়োজনীয়, নচেৎ অদূর ভবিষ্যতে বিপদের হাতছানি
১৯৭৪ সাল থেকেই সারা বিশ্ব জুড়ে পালন করা হয় বিশ্ব পরিবেশ দিবস। পরিবেশের সঠিক ভারসাম্য রক্ষার্থে এই দিন বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকার কারণগুলো তুলে ধরেন বিভিন্ন পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা। কোন পথে এগোলে মিলবে খানিক সমাধানের পথ, কীভাবে পরিবেশ দূষণ কমানো সম্ভব, সব বিষয়ই এই দিন বিশ্বের নানান প্রান্তে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। প্রতি বছর বিশ্বে কেবল মাত্র পরিবেশ দূষিত হওয়ার কারণে ৭ মিলিয়ন মানুষের মৃত্যু ঘটে। যার মধ্যে প্রায় ৬ লক্ষই শিশু।
মোটের ওপর ১০০টি দেশ এই অনুষ্ঠানে যোগদান করেন থাকে। প্রতিবারই পরিবেশের একটি বিশেষ অংশকে বেছে নিয়ে থিম তৈরি করা হয় এই দিনে। ২০১৯ সালে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের থিম বায়ু দূষণ। কীভাবে প্রত্যহ বাড়ছে বায়ু দূষণের মাত্রা। কীভেবই বা তা কমানো সম্ভব, ৫ই জুন দিনভর বিশ্বের নানান প্রান্তে প্রকাশ্যে এলো এই প্রশ্নের উত্তরগুলো।
ভারতের চিত্রটা মোটেই পরিবেশের অনুকূল নয়। বায়ু দূষণের মাত্রা এতই বেড়ে চলেছে যে বেশ কিছু জায়গায় তার প্রভাব মানুষের জীবনেও দেখা দিচ্ছে। এদিন মূলত চারটি বিষয় নিয়েই চর্চা ছিল তুঙ্গে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে ও বায়ু দূষণের হার কমাতে মাথায় রাখতে হবে বেশ কয়েকটি বিষয়ঃ
- কমাতে হবে কলকারখানায় ব্যবহৃত কেমিক্যাল-এর মাত্রা।
- গাড়ির পলিউশন প্রতি মুহূর্তে পরীক্ষা করতে হবে।
- রাস্তাঘাটে অযাচিত গাড়ির সংখ্যা কমাতে হবে।
- যেখানে সেখানে কাগজ, নোংড়া পুড়িয়ে ফেলার অভ্যাস ত্যাগ করা প্রয়োজন।
- বায়ুতে থাকা দূষণের মাত্রা বাড়ার ফলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রতি ঘন্টায় ৮০০ জন। তাই বায়ুকে দূষণ মুক্ত রাখা একান্ত বাঞ্ছনীয়।