সংক্ষিপ্ত
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রে আবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো ইউক্রেন। এবার ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোগুলোর উপর ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ফলে ইউক্রেনের ১.৫ মিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পরল শনিবার।
রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্রে আবার ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলো ইউক্রেন। এবার ইউক্রেনের বিদ্যুৎ পরিকাঠামোগুলোর উপর ক্ষেপণাস্ত্র প্রয়োগের ফলে ইউক্রেনের ১.৫ মিলিয়ন মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পরল শনিবার।ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেন যে রাশিয়ার রাতের অন্ধকারে আচমকা শুরু করে আক্রমণ , শত্রুপক্ষকে কোনোরকম কোনো মোকাবিলার সুযোগ দেবে না বলেই, তারা আক্রমণের এমন পরিকল্পনা করেন। তবে রাশিয়া কর্তৃক এখনো পর্যন্ত মোট ৩৬ টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে যার মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেপনাস্ত্রই ইউক্রেন প্রতিরোধ করতে সক্ষম হয়েছে ।
ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের উপর যে প্রবল বহিরাক্রমণ শুরু করেছিল তা আর ২ দিন বাদে ৮ মাস পূরণ করবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত সেইভাবে ইউক্রেনের মানুষদের টলাতে না পাড়ার কারণে বিগত ২ সপ্তাহ ধরে রাশিয়া বিভিন্ন বৈদ্যুতিক কেন্দ্রগুলিতে আক্রমণের সিদ্ধান্ত নেয়। কারণ বিদ্যুৎ ছাড়া জীবনযাপন এখন মানুষ ভাবতেই পারেন না। তাছাড়াও ক্রেমলিনে লক্ষ্য লক্ষ্য মানুষ শীতকালে হিটার ছাড়া বাঁচতেই পারবেন না সে কথা অনেক আগেই জানা ছিল পুতিনের। সুযোগ বুঝে সেটাকে এইভাবে কাজে লাগলেন তিনি।
জেলেনস্কির একজন শীর্ষ সহযোগী বলেন রাশিয়া ইউক্রেনীয়দের তাদের বাড়ি থেকে তাড়িয়ে ইউরোপের শরণার্থী সংকটকে উস্কানি দিচ্ছেন মাত্র। তবে পুতিন তার অভীষ্ট লক্ষ্যে সফল হবেন কিনা তা এখন নির্ভর করছে ইউরোপের রাজধানীগুলির নেতাদের উপর।
পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে যুদ্ধক্ষেত্রে ক্রেমলিন সেনারা একাধিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হওয়ায় বিদ্যুৎ অবকাঠামোর বিরুদ্ধে হামলা করতে মূলত সক্ষম হয়েছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের ন্যাশনাল পাওয়ার গ্রিড অপারেটর ইউক্রেনারগো বলেছেন যে হামলার পর জ্বালানি অবকাঠামোর উপর চাপ কমাতে রাজধানী কিয়েভ এবং অন্তত দশটি অতিরিক্ত অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ এখন থেকে সীমিত করবেন তারা । একজন রাষ্ট্রপতির সহকারী অনুমান করেছেন প্রায় 1.5 মিলিয়ন মানুষ বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। "
জেলেনস্কি এই সপ্তাহের শুরুতে বলেছিলেন যে সাম্প্রতিক হামলাগুলি ইউক্রেনের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ পাওয়ার স্টেশনগুলিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং সেইগুলি যে আরও বাড়বে সেইবিষয়েই তিনি নিশ্চিত ছিলেন। শনিবারে নতুন ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা আগের সমস্ত ক্ষয়ক্ষতিকে ছাড়িয়ে গেছে। বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিতে তাই ১০-১২ ই অক্টোবর পর্যন্ত স্ট্রাইক দেখা দিয়েছিলো। বর্তমানে এই হামলার কারণে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর বিশেষ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইউক্রেনিয়ান সরকার।
পুতিন অবশ্য বলেন যে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর নিরন্তর আক্রমণেও সেভাবে কোনো ফল হচ্ছিলো না বিগত কয়েকদিন ধরে। তবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলির উপর আক্রমণ সেই কাজ সম্পন্ন করেছে।
শি জিংপিং-এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চিনে, খাবার চেয়ে পড়েছে পোস্টার
'তুমি মিথ্যাবাদী, চোর', মার্কিন মুলুকে চরম হেনস্থা পাকিস্তানের অর্থমন্ত্রীকে- দেখুন ভিডিও