সংক্ষিপ্ত
এর আগে একাধিকবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর সাফ দাবি ছিল, ‘‘কংগ্রেসকে একটি ভোট মানে বিজেপিকে একটি ভোট।’’
সাম্প্রতিক সময়ে ঘাসফুল শিবিরের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না হাত শিবিরের। এমনকী সম্প্রতি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র জাগো বাংলায় কংগ্রেসকে ‘বিজেপির দালাল’ বলে কটাক্ষ করা হয়েছিল। যা নিয়েও শোরগোল পড়ে গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media)। অন্যদিকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা (Leader of the Opposition in the Lok Sabha) তথা বাংলার প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অধীর চৌধুরী (Pradesh Congress chief Adhir Chowdhury) এর আগে একাধিকবার দফায় দফায় তোপ দেগেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের নামে। অন্যদিকে চব্বিশের লোকসভা ভোটে কংগ্রেস-তৃণমূলের (Congress-Trinamool in Lok Sabha polls) অবস্থা কী হবে তা নিয়েও বাড়ছিল ধোঁয়াশা। এমতাবস্থায় এবার কংগ্রেসের সঙ্গে দূরত্ব মেটাতে সোনিয়াকে নাকি মোবাইলে বার্তা পাঠিয়েছিলেন খোদ মমতা। শোনা যাচ্ছে এমনটাই। মমতা বন্দোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) এই অবস্থান নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা শুরু হয়েছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে।
এদিকে সম্প্রতি একাধিকবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা ভাষায় তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাঁর সাফ দাবি ছিল, ‘‘কংগ্রেসকে একটি ভোট মানে বিজেপিকে একটি ভোট।’’ এমনকী গোয়া কংগ্রেসের কারণেই আসন সমঝোতা হয়নি বলেও কটাক্ষবান শানিয়েছিলেন তিনি। এমতাবস্থায় এবার খোদ মমতার তরফ থেকে সোনিয়ার কাছে একযোগে কাজ করার বার্তায় অভিষেকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছে তা জানা যায়নি। এদিকে সোনিয়াকে মোবাইল ফোনে পাঠানো বার্তায় মমতা রাজ্যে ২০২১ সালের ভোটের সময়ে দুই দলের সম্পর্কের অবনতির প্রসঙ্গটিও তোলেন। তবে সেসব ভুলে চব্বিশের ময়দানে বিজেপিকে কী ভাবে ধরাশায়ী করা যায় সেই বিষয়ে রণকৌশ তৈরির উপরেই মূলত বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন- এগিয়ে না পিছিয়ে বাংলা তা ঠিক করুক বর্তমান প্রজন্ম, ফের শমীকের নিশানায় মমতা
সূত্রের খবর, সোনিয়া পাঠানো বার্তায় মমতা লেখেন, “বিজেপিকে ২০২৪-এর ভোটে একযোগে হারানোর জন্য প্রয়োজনীয় রণকৌশল তৈরি করার সময় এখনই। বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে কংগ্রেস এবং তৃণমূল উভয় দলের দু’জন করে প্রতিনিধি প্রাথমিক আলাপ-আলোচনার কাজ শুরু করতে পারেন। সময় মূল্যবান, তাই আর দেরি না করাই ভাল।” মমতার এই বার্তা নিয়েই বর্তমানে জোরদার চর্চা চলছে বঙ্গের রাজনৈতিক ময়দানে। যদিও সূত্রের খবর, এখন আর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে তেমন ইতিবাচক সাড়া মিলছে না। আগামীতে এই বিষয়ে কংগ্রেস হাইকমান্ডের তরফে কোনও সতর্থক পদক্ষেপ দেখতে পাওয়া যায় কিনা এখন সেটাই দেখার। এদিকে বাংলার বিধানসভা ভোটের পর ইতিমধ্যেই পাঁচ রাজ্যে বেজে গিয়েছে নির্বাচনী দামামা। যদিও এই রাজ্যগুলির কোথাওই জোট হচ্ছে না কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে।
আরও পড়ুন- পদ্মেই রয়েছেন মুকুল, জোরালো দাবি তাঁর আইনজীবীর, পরবর্তী শুনানি ২৮ জানুয়ারি