সংক্ষিপ্ত
বৃ্ষ্টির মরশুম এখনও সেভাবে আসেনি। কিন্তু এখন থেকেই অ্যাপক্যাবের এই পরিষেবায় কপালে ভাঁজ পড়েছে শহরের যাত্রীদের।
হলুদ ট্যাক্সির থেকে না শোনাই কলকাতার মানুষের অভ্যেসে দাঁড়িয়ে গিয়েছে। যেতে রাজি হলেও মিটার বন্ধ। এই অনাচারের হাত থেকে বাঁচতে শহরের মানুষ ভরসা পেয়েছিল অ্যাপ ক্যাবে। কিন্তু কখনও বৃষ্টি, কখনও উৎসবের সুযোগ নিয়ে অ্যাপ ক্যাবও বাড়িয়েছিল তাদের ভাড়া। মাঝখানে কিছুটা কমলেও আবার ৮ মাস পরে সেই একই ত্রাস ফিরে এসেছে কলকাতার মানুষের জীবনে।
বিশেষ করে অফিসে যাতায়াতের সময়ে অ্যাপ ক্যাবের ভাড়া থাকছে আকাশছোঁয়া। বিগত কয়েক সপ্তাহে এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিযোগও তুলেছেন অনেকে। অনেকে আবার ওলা, উবেরের মতো বিভিন্ন অ্যাপ ক্যাবের পেজে গিয়েও অভিযোগ জানিয়েছেন। কারও অভিযোগ, সাধারণ কিলোমিটার অনুযায়ী যা ভাড়া হওয়া উচিত তার চেয়ে ৩ গুণ বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। দমদম নিবাসী দীপ্তা রায় জানিয়েছেন চাঁদনিচক যেতে সাধারণত খরচ হয় ২০০ টাকার মধ্যে। কিন্তু বৃষ্টির দিনে এই ভাড়াই ৫০০-র বেশি হয়ে যাচ্ছে।
বৃ্ষ্টির মরশুম এখনও সেভাবে আসেনি। কিন্তু এখন থেকেই অ্যাপক্যাবের এই পরিষেবায় কপালে ভাঁজ পড়েছে শহরের যাত্রীদের।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, উবের ও ওলার মুখপাত্ররা জানিয়েছেন, পরিবহন দফতরের সঙ্গে আলোচনা করে কিলোমিটার অনুযায়ী যা ভাড়া ছিল,এখনও তা-ই রয়েছে।
যদিও সেকথা মানতে নারাজ কলকাতার রোজকার যাত্রীরা। উবের বা ওলা শেয়ারে সময় বেশি লাগে বলে সল্টলেকের নিত্যযাত্রী দেবরিমা পালকে সিঙ্গল রাইড ক্যাবের উপরেই নির্ভর করতে হয়। কিন্তু বর্তমানে যে হারে ভাড়া বাড়ছে অফিস যাওয়া আসার সময়ে সমস্যায় পড়েছেন তিনিও।