সংক্ষিপ্ত

  • রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন আরও একজন  
  •   নিয়ম, আক্রান্তের মৃত্য়ুতে সৎকার ধাপার মাঠে-কবর বাগমারিতে  
  • এদিকে বেলঘড়িয়ার ওই প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম শুরু হয় 
  •  ধাপার শ্মশানে উদ্যোগ শুরু হতেই এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান   

 রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ হারালেন  বেলঘরিয়া নার্সিংহোমে এক প্রৌঢ়। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর মৃত্যু নিয়ে তুলকালাম শুরু হয়। ধাপার শ্মশানের বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পোড়ানোর উদ্যোগ শুরু হতেই এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। গত ২৬ মার্চ করোনার উপসর্গ নিয়ে বেলঘরিয়ার একটি ভর্তি হয়েছিলেন ওই প্রৌঢ়। মঙ্গলবার তাঁর রিপোর্টের নমুনায় করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। তারপরেই বুধবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর। যদিও  স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতর প্রৌঢ়ের মৃত্যু নিয়ে কোনও বিবৃতি প্রকাশ করেনি।

আরও পড়ুন, সকাল থেকেই চাবুক মারবে পারদ, বিকেলে ঝড়ের মুখে কলকাতা

উল্লেখ্য়, দমদমের করোনায় আক্রান্ত হয়ে বৃদ্ধ মারা যাওয়ার পর তাঁর শেষকৃত্য নিয়ে রীতিমত ঝামেলা হয়। এলাকার অনেকেরই ধারণা ছিল, করোনায় মৃত রোগীর দেহ বৈদ্যুতিক চুল্লিতে পোড়ালেও  বাতাসে ছড়িয়ে পড়বে সেই মারণ ভাইরাস। তাই তারা ৩ ঘণ্টা আটকে রাখে বৃদ্ধের দেহ। পরে অশান্তি রুখতে পুলিশ ও কলকাতা পৌরসভায় তত্ত্বাবধানে ধাপার মাঠেই বৃদ্ধের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তখনই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, এবার থেকে করোনায় আক্রান্ত কোনও রোগীর মৃত্যু হলে ধাপায় দাহ ও পূর্ব কলকাতার বাগমারি কবরস্থানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। অপরদিকে কালিম্পংয়ের  করোনা আক্রান্ত মহিলার মৃত্য়ু পর প্রাথমিকভাবে নতুন সমস্য়া উঠে আসে। কারণ  উত্তরবঙ্গে কোনও ধাপার মাঠ নেই। তাই স্বাভাবিকভাবেই তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা।  এক্ষেত্রেও ধাপার  বৈদ্যুতিক চুল্লিতে বেলঘরিয়ার ওই প্রৌঢ়ের শেষকৃত্য প্রক্রিয়া শুরু হতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় বিশাল পুলিশবাহিনী।

আরও পড়ুন, লকডাউনে বন্দিদশায় কলকাতা, ভরসা জোগাতে আমরা করব জয় গাইছে পুলিশ


বেলঘরিয়ার রথতলায় ওই প্রৌঢ়ের একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে। বেলঘরিয়ার রথতলায় ওই প্রৌঢ়ের একটি ফাস্টফুডের দোকান রয়েছে।পারিবারিক একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, বছর সাতান্নর ওই প্রৌঢ়ের বিদেশ বা ভিন্ রাজ্যে যাওয়ার কোনও ইতিহাস নেই। তবে তাঁর এক পরিচিত ভিন রাজ্য থেকে এসেছিলেন। সেখান থেকে কোনও ভাবে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ফাস্ট ফুডের দোকান চালাতেন, সেখানে প্রতিদিনই বহু ক্রেতা আসতেন। সে দিকটাও মাথায় রাখা হচ্ছে।   বেলঘরিয়ার ওই নার্সিংহোমের জেনারেল ম্যানেজার পার্থপ্রতিম শেঠ জানিয়েন, 'এ ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম মেনে সব কিছু করা হয়েছে। এখন বিষয়টি স্বাস্থ্য দফতর দেখছে।' 

ফের তথ্য গোপন করোনা আক্রান্ত প্রৌঢ়ের ভাইয়ের, আইসোলেশনে ভর্তি বরানগরের বাসিন্দা

জ্বর নিয়েই ট্রেন করে একটানা অফিস, ভয়ে কাঁটা রাজ্য়ের করোনা আক্রান্তর সহকর্মীরা
 

রাজ্যে আরও এক করোনা আক্রান্তের হদিশ,সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে ২২