সংক্ষিপ্ত

বুধবার রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। রাজ্যে সাংবিধানিক বিষয়গুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে ক্রমাগত অবহেলা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।  

বুধবার রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল। রাজ্যে সাংবিধানিক বিষয়গুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে ক্রমাগত অবহেলা দেখা যাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। সেই কারণেই রাজ্যের অর্থসচিব এবং মুখ্যসচিবকে ডেকে পাঠিয়েছেন বলে জানান রাজ্যাপাল।

এদিন রাজ্যপাল একটি টুইটে জানিয়েছেন, 'সাংবিধানিক বিষয়গুলি মেনে চলার ক্ষেত্রে ক্রমাগত অবহেলা দেখা যাচ্ছে। সেই কারণে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অর্থ সচিব মনোজ পন্থকে এদিন বিকেলে  রাজভবনে এই বিষয়ে আলোচনায় ডাকা হয়েছে।'  এর আগে ৩ মার্চ রাজ্যপাল এবং মুখ্যসচিবের মধ্য়ে হয়েছিল সেই বৈঠক সংক্রান্ত বিষয়ে এদিন ডেকে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে পুরোনো টুইটকেও তুলে ধরেছেন রাজ্যপাল। যেখানে তিনি উল্লেখ করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী রাজ্যের আমলাদের প্রধান হিসেবে ২০২২ সালের ১৮ মার্চের মধ্যেই সমস্ত জমে থাকা ইস্যুগুলির ব্যবস্থা করার কথা ছিল। ২০২২ সালের ৩ মার্চ তিনি ব্যাক্তিগতভাবে আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, সমস্ত জমে থাকা ইস্যুগুলি নিয়ে সাংবিধানিক উপায়ে জানানো হবে।' তবে বর্তমানে  একের পর এক হিংসাকাণ্ডে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। একদিকে ছাত্র নেতা আনিস খান খুন, দুই কাউন্সিলর খুন এবং রামপুরহাটে বগটুই হত্যাকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই বিতর্ক মোড় নিয়ে রাজনৈতিক দলের মধ্য়ে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইতিমধ্যেই রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন, 'বগটুইকাণ্ডে বিজেপির রিপোর্ট তদন্তকে প্রভাবিত করবে, দুর্বল করবে', দার্জিলিং থেকে দাবি মমতার

 

  রামপুরহাটের ঘটনায় রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল। তিনি ওই ভিডিওবার্তায় তিনি জানিয়েছেন, এবিষয়ে তিনি অবগত হতে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে তথ্য দিতে নির্দেশ দিয়েছেন। ভিডিও বার্তায় রাজ্যপাল বলেছেন, রামপুরহাটের ভয়াবহ ও নৃশংস ঘটনা আমি মর্মাহত। ডিজিপির বিবৃতি অনুসারে রামপুরহাটকাণ্ডে ইতিমধ্য়েই রাজ্যের ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে মুখ থুবড়ে পড়েছে, এই ঘটনা তারই ইঙ্গিত দিয়েছে। এভাবে রাজ্যে অরাজকতা চলতে দিতে পারি না, এটা আমি আগেও বলেছি। প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিভাজনের উপরে উঠতে হবে। আমি পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে এব্যাপারে পেশাদারিভাবে পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অতিদ্রুত এই ঘটনা নিয়ে অবগত করতে বলেছি। রামপুরহাটের এই ঘটনায় আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্যের মানবধিকার বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে, আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে।' যদিও তারপরেও বিতর্ক থেমে থাকেনি। বরং রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত আরও বড় মোড় নিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা।  এহেন পরিস্থিতিতেই রাজভবনে  রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, অর্থ সচিব মনোজ পন্থকে ডেকে পাঠানোয়, যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।