সংক্ষিপ্ত
- জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ি প্রাঙ্গনে উৎসবের মেজাজ
- সারাদিনের অনুষ্ঠানসূচী
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আজ ১৫৮ তম জন্মবার্ষিকী, ভোর হতেই জোড়াসাঁকো ঠাকুরবাড়ির অন্দরমহলের চেনা পরিচিত চিত্রটা পুনরায় উঠে এলো জনসন্মুখে। উৎসবে মেতে উঠল বাড়ির প্রাঙ্গণ। দিকে দিকে ধ্বনিত হল একই সুর, ধ্বনিল আহবানের সাড়া ফেলে প্রভাতী অনুষ্ঠানে সামিল হল শহরবাসী। জোড়াসাঁকোর ঠাকুরদালান থেকে শুরু করে উদ্যান প্রাঙ্গণে কবিগুরুর গানে, কবিতায় ভরে উঠল আকাশ-বাতাস।
প্রতিদিনের মতন এদিনও জোড়াসাঁকোর অন্দরমহলের দ্বার খুলে দেওয়া হয় জনসাধারণের জন্য, তবে গত তিন বছর ধরে বাড়ির একাংশ বন্ধ রাখা হয় এই দিনে। উপচে পড়া ভীরের চাপে ভেঙে পড়েছিল দোতলার সিঁড়ি, তারপর থেকেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া। জোড়াসাঁকোর সামনে মুক্তমঞ্চে ভোর ৬টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, মূল ফটকের বাইরে বসে শান্তিনিকেতন থেকে আসা বিভিন্ন হস্তশিল্পের মেলা।
ঠাকুরবাড়ির মোট তিনটি মঞ্চের অনুষ্ঠানসূচী ভিন্ন। অন্দরমহলের মঞ্চে অনুষ্ঠান হবে বিকেল থেকে। মুক্তমঞ্চে দুই দফায় অনুষ্ঠান। ভোর ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত প্রথম দফা ও বিকেল ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত দ্বিতীয় দফা। মূল ফটকের বাইরের মঞ্চে অনুষ্ঠান হবে বিকেল ৪টে থেকে।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মদিনে এবারেও ঠাকুরবাড়িতে ভোর থেকে উপচে পরা ভীর চোখে পড়ল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই বাড়ছে তাপপ্রবাহ, তাই ক্ষণিক এবার জুড়িয়ে নেওয়ার পালা। বিকেল চারটের পর বন্ধ করে দেওয়া হবে ঠাকুরবাড়ি দর্শন। খোলা থাকবে কেবল অন্দরমহল প্রাঙ্গণ। ১৮৬১ সালে এই ঠাকুরবাড়িতেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেছিলেন, আজও কাঁচের ফ্রেমে বাঁধানো আছে সেই আতুঁরঘর।