সংক্ষিপ্ত

যাদবপুর এলাকায় দেবব্রত মজুমদার যদিও মলয় দা নামেই বেশি পরিচিত। কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে বি.কম অনার্স পাশ করেন দেবব্রত। পরবর্তীতে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস থেকে ১৯৯০ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হন।

হাতে বাকি আর সপ্তাহ খানেকেরও কম সময়। এদিকে দিন যত গড়াচ্ছে ততই জমে উঠছে খেলা। এদিকে  এবারের পুর নির্বাচনে(KMC election) তৃণমূলের(Trinamool) পক্ষ থেকে লড়াইয়ে নেমেছেন ৬ বিধায়ক(MLA) ও ১ সাংসদ(MP)। যাদের নিয়ে কলকাতার রাজনৈতিক ময়দানে চর্চা তুঙ্গে। এদিকে শেষ মুহূর্তের ভোট প্রচারে জোর দিয়েছেন তাঁরা প্রত্যেকেই। তালিকায় রয়েছেন বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim), দেবাশিস কুমার, অতীন ঘোষ ও দেবব্রত মজুমদারের(Debabrata Majudar) মতো নাম। ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রার্থী হয়েছেন দেবব্রত। এদিকে এর আগে পুরসভার দক্ষ কাউন্সিলর থেকে হয়েছেন বিধায়ক। আর তারপর থেকেই পড়েছেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দোপাধ্যায়ের(Trinamool supremo Mamata Banerjee) সুনজরে।

যাদবপুর এলাকায় দেবব্রত মজুমদার যদিও মলয় দা নামেই বেশি পরিচিত। কলকাতা বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ১৯৮৫ সালে বি.কম অনার্স পাশ করেন দেবব্রত। পরবর্তীতে ইনস্টিটিউট অফ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস থেকে ১৯৯০ সালে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হন। পরবর্তীতে রাজনীতিতে পা দেওয়ার আগে সেটাই ছিল তাঁর মূল পেশা। এদিকে কলকাতা পৌরনিগমের নির্বাচনে জমা দেওয়া হলফনামায় দেখা যাচ্ছে বর্তমানে বিধায়ক ও কলকাতার প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য দেবব্রত মজুমদারের জমা টাকার পরিমাণ আগের বিধানসভা ভোটের থেকে বেড়েছে মাত্র ১ হাজার টাকা। গত বিধানসভা ভোটে তাঁর হাতে নগদ ছিল ২২ হাজার টাকা। পৌরসভা ভোটের আগে দেখা গেল সেই টাকার পরিমাণ বেড়ে ২৩ হাজার হয়েছে।

আরও পড়ুন- বিজেপি প্রার্থীর সমর্থনে প্রচার, রাস্তায় নেমেই ঝোড়ো ব্যাটিং অশোক দিন্দার

তবে বর্তমানে মলয়বাবুর অস্থাবর সম্পত্তির আর্থিক মূল্য ৩৬ লক্ষ থেকে বেড়ে ৫৭ লক্ষেরও বেশি হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বেড়েছে তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তিও। তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তি বর্তমানে ৩২ লক্ষ থেকে বেড়ে হয়েছে ৪১ লক্ষের বেশি। অন্যদিকে তাঁর সন্তানের ব্যাঙ্ক ব্যালেন্স 8 লক্ষ টাকা বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিক ভোট প্রচারে বেরিয়ে সারাদিনের ক্লান্তি কাটিয়েও নিজের পছন্দের খাবার খেতে ভুলছেন না কলকাতা পৌরসভার এই বিদায়ী মেয়র পারিষদ। তাঁর পছন্দ তালিকায় বরাবরই উপরের দিকে রয়েছে মিষ্টি। চড়া মাত্রায় সুগার থাকলেও এখনও সাধের মিষ্টিকে না বলতে পারেননি দেবব্রত। নামী দামি রেস্তোরাঁ নয়, ফুটপাতের দোকানে, ঘুগনি-মুড়ি, কচুরই বরং তার বেশ পছন্দের। তাই এবারের ভোট প্রচারে বেরিয়ে স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখলেও খাদ্য তালিকা থেকে একদমই বাদ পড়ছে না প্রিয় খাবারগুলি। বিধানসভা ভোটে বাজিমাত করেছেন। এবার পুরভোটের ফল কী হয় তাই দেখতে মুখিয়ে মলয় অনুগামীরা।